এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটের (ইডি) ডাকে সাড়া দিলেন না অনুব্রত মণ্ডলের মেয়ে সুকন্যা মণ্ডল। গরুপাচার মামলা সুকন্যা মণ্ডল আজ, বৃহস্পতিবার নয়াদিল্লিতে ইডি দফতরে আসছেন না। তাঁকে তলব করে এই মামলায় নোটিশ পাঠানো হয়েছিল। তবে এদিন ব্যক্তিগত কারণে দেখিয়ে ইডি’র হাজিরা এড়িয়ে গেলেন তিনি। গরু পাচার কাণ্ডে এই প্রথমবার অনুব্রত মণ্ডলের কন্যা সুকন্যাকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য নয়াদিল্লি তলব করা হয়েছিল।
কেন সুকন্যাকে তলব করা হয়েছিল? ইডি সূত্রে খবর, সুকন্যা মণ্ডল পেশায় প্রাথমিক স্কুলের শিক্ষিকা। তাঁর সম্পত্তি ও ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে জমা টাকা ২০১৫ সালের পরে অনেকটা বেড়েছে। যা স্বাভাবিক নয়। বোলপুরের ‘ভোলেবোম’ চালকলের যৌথ মালিকানায় তাঁর নামে আছে। আবার দু’টি সংস্থার তিনি ডিরেক্টর। ব্যাঙ্কে কোটি টাকার বেশি ফিক্সড ডিপোজিট আছে। এই সম্পত্তির উৎস কী? জানতে চেয়ে সুকন্যার সংস্থা এএনএম অ্যাগ্রোকেম ফুড প্রাইভেট লিমিটেডেকে নোটিশ দেওয়া হয়েছিল। সুকন্যাকে তলব করে তারা। তবে ভিন্ রাজ্যে আছেন জানিয়ে সেই হাজিরা সুকন্যা এড়িয়েছেন।
আর কী জানা যাচ্ছে? সিবিআই একটি চার্জশিট জমা দিয়েছে। সেখানে উল্লেখ করা হয়েছে, ২০১৩–১৪ অর্থবর্ষে সুকন্যার আয় ছিল ৩ লক্ষ ১০ হাজার টাকা। সেখানে ২০২০–২১ অর্থবর্ষে তা বেড়ে হয়েছে ১ কোটি ৪৫ লক্ষ টাকা। তাঁর নামে ৩ কোটি টাকার ফিক্সড ডিপোজিট রয়েছে। অনুব্রত মণ্ডল গ্রেফতার হতেই হদিশ মেলে তাঁর একাধিক সম্পত্তির। তাতে ভাগ রয়েছে সুকন্যা মণ্ডলের। তাই ইডির গোয়েন্দাদের নজরে আসেন সুকন্যা। এমনকী আয় বৃদ্ধিতে বাবা অনুব্রত মণ্ডলকেও পিছনে ফেলেছেন মেয়ে সুকন্যা।
কেন হাজিরা এড়ালেন সুকন্যা? সূত্রের খবর, সুকন্যার এক বান্ধবী মারণ রোগে আক্রান্ত। তাঁকে দেখতে ভিন রাজ্যে গিয়েছেন কেষ্ট কন্যা। এই বান্ধবী চিকিৎসা করতে অন্য রাজ্যে গিয়েছেন। আর তাঁর সঙ্গেই তিনি এখন আছেন। এখনও ফেরেননি। সে কথা তিনি ই–মেল মারফত জানিয়েও দিয়েছিলেন। তাই ইডি’র দফতরেও তিনি হাজির হলেন না।