তিনি হুঁশিয়ারি দিয়েছিলেন। এবার এখানে রাজনীতি করব। সেটাই করে দেখালেন অনুব্রত মণ্ডল! উপসনাগৃহের সামনে দলীয় পতাকা নিয়ে মোটরবাইক মিছিল করল তৃণমূল কংগ্রেস। মিছিল থেকে উঠল রাজনৈতিক স্লোগান। আর বক্তব্য রাখলেন বীরভূম জেলা তৃণমূল সভাপতি অনুব্রত। সাতদিন আগে উদ্বোধন হওয়া রাস্তার সাইনবোর্ড নতুন করে শঙ্খ ও উলুধ্বনি দিয়ে, নারকেল ফাটিয়ে উদ্বোধন করলেন অনুব্রত। জানিয়ে দিলেন, ‘বিশ্বভারতী বিশ্বভারতীর জায়গায় থাকবে, পূর্ত দফতরের রাস্তা যেমন ছিল তেমন থাকবে।’
বিশ্বভারতীর একটি সূত্রে খবর, এই রাস্তা ফেরত পাওয়ার দাবিতে শনিবার ছাতিমতলায় এক ঘণ্টার প্রতীকী অবস্থানে বসতে পারেন উপাচার্য–সহ বিশ্বভারতীর কর্তারা। যদিও বিশ্বভারতীর কোনও প্রতিক্রিয়া রাত পর্যন্ত পাওয়া যায়নি। কিছুদিন আগে বোলপুরে দলীয় কার্যালয়ে অনুব্রত হুঁশিয়ারি দিয়েছিলেন, বিশ্বভারতীর উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তী যদি ‘পাগলামো’ বন্ধ না করেন, তাহলে তিনি বিশ্বভারতীর ভেতরে দলীয় পতাকা নিয়ে রাজনীতি করবেন।
তারপর ২৮ ডিসেম্বর বোলপুরের গীতাঞ্জলি প্রেক্ষাগৃহে প্রশাসনিক বৈঠকের মঞ্চ থেকে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ঘোষণা করেন, কাচমন্দির থেকে কালিসায়র মোড় পর্যন্ত প্রায় ৩ কিলোমিটার দীর্ঘ যে রাস্তাটি ২০১৭ সালে বিশ্বভারতীর হাতে দেওয়া হয়েছিল, তা রাজ্য সরকার আবার ফিরিয়ে নিচ্ছে। এমনকী উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তীকে ‘বিজেপি’র ছাপ মারা’ বলে অভিযোগ তোলেন তৃণমূলনেত্রী।
তবে কথা রেখেছেন নেত্রীর কেষ্ট। সরাসরি বিশ্বভারতীর ভেতরেই ঢুকে পড়লেন অনুব্রত। জেলাশাসক, জেলা পুলিশ সুপার–সহ অন্যান্য প্রশাসনিক আধিকারিক এবং আশ্রমিকদের একাংশের উপস্থিতিতে সরকারিভাবে ওই রাস্তার দায়িত্ব নিজেদের হাতে তুলে নেয় রাজ্য পূর্ত দফতর (সড়ক)। লাগানো হয় নতুন সাইনবোর্ডও। সেই সাইনবোর্ডটিকেই নতুন করে সাজিয়ে পুনরায় উদ্বোধন করলেন অনুব্রত মণ্ডল।
এই নিয়ে জেলা তৃণমূলের এক নেতা, ‘বর্তমান কর্তৃপক্ষ বিশ্বভারতীকে রাজনীতির কেন্দ্রে পরিণত করছেন। আর তার মোকাবিলা রাজনৈতিক ভাবেই করতে হবে।’ উল্লেখ্য, এখানে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী দলবল নিয়ে ঢুকে পড়েছিলেন। সেটাও তো রাজনীতি! এমনই অভিযোগ শোনা গিয়েছে তৃণমূলের তরফে।