শিবঠাকুর মামলায় অনুব্রত মণ্ডলের জামিন মঞ্জুর করল দুবরাজপুর আদালত। আজ, মঙ্গলবার সাতদিনের পুলিশের হেফাজত শেষ হওয়ার পর তাঁকে দুবরাজপুর আদালতে তোলা হলে তাঁর জামিন মঞ্জুর করে আদালত। তাহলে এবার কি ফের আসানসোল জেলে ফিরবেন তৃণমূল কংগ্রেসের দাপুটে নেতা? নাকি ইডি’র রাস্তা পরিষ্কার হল তিহাড় জেল নিয়ে যাওয়ার জন্য?
আজ সরকারি পক্ষের আইনজীবী আদালতে বলেন, ‘অনুব্রত তদন্ত প্রক্রিয়ায় সহযোগিতা করছেন না। সাতদিনের পুলিশি হেফাজতের আবেদন জানাচ্ছি। কারণ শিবঠাকুর মণ্ডল অভিযোগপত্রে যে দাবি করেছেন, তাতে অনুব্রত তাঁকে প্রাণে মারার হুমকি দিয়েছিলেন। সেদিন একজন নিরাপত্তা কর্মী ছিল। সেই নিরাপত্তা কর্মী কে? এসব জানার বিষয় রয়েছে।’ পালটা জামিনের আর্জি জানান অনুব্রত মণ্ডলের আইনজীবী। কিন্তু সরকারি আইনজীবীর আপত্তিতে আমল দেননি বিচারক। এরপর দুর্গাপুর কমিশনারেটের একটি গাড়ি এসে অনুব্রতকে আসানসোল সংশোধনাগারে নিয়ে যায়। গাড়িতে ওঠার আগে তাঁর প্রতিক্রিয়া, ‘ভাল সিদ্ধান্ত।’
এদিকে অনুব্রত তাঁর বিরুদ্ধেই অভিযোগ তোলা হয়েছিল। আবার যদি তদন্ত প্রক্রিয়ায় অসহযোগিতা করে বলেও আদালতে সওয়াল করা হয়। স্বাভাবিকভাবে তদন্তে প্রক্রিয়ায় ব্যাঘাত ঘটছে। এই কারণে পুলিশ রিমান্ড চাওয়া হয়। অন্যদিকে অনুব্রতর আইনজীবীর পক্ষ থেকে জামিনের জন্য আবেদন করা হলে সেটা মঞ্জুর করা হয়। ইডি যখন নয়াদিল্লি নিয়ে যাওয়ার তোড়জোড় করে তখন তৃণমূল কর্মী শিবঠাকুর মণ্ডলের দায়ের করা অভিযোগের ভিত্তিতে দুবরাজপুর পুলিশের হাতে গ্রেফতার হন অনুব্রত। তাঁকে আসানসোল জেল থেকে দুবরাজপুর থানায় নিয়ে আসা হয়।
উল্লেখ্য, আগামী ৯ জানুয়ারি পর্যন্ত তাঁকে নয়াদিল্লি নিয়ে যাওয়া যাবে না বলে নির্দেশ দিয়েছিল দিল্লি হাইকোর্ট। ৭ দিন অনুব্রত এখানেই ছিলেন। মঙ্গলবার আদালতে তাঁর জামিন মঞ্জুর হয়। রাজ্য পুলিশের দায়ের করা মামলায় জামিন পেলেন অনুব্রত মণ্ডল। আগামী ৯ জানুয়ারি সেই মামলার শুনানি রয়েছে দিল্লি হাইকোর্টে। ফলে আপাতত অনুব্রত মণ্ডলকে দিল্লিতে নিয়ে যেতে পারছেন না এনফোর্সমেন্ট (ইডি) ডিরেক্টরেটের আধিকারিকরা। কারণ অনুব্রতর আইনজীবীরা রাউস এভিনিউ কোর্টের নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে দিল্লি হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছেন।