রাজ্যে এখন সফর করে বেড়াচ্ছেন মিঠুন চক্রবর্তী। বিজেপির এই কোর কমিটির নেতা পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে সাংগঠনিক হাল খতিয়ে দেখছেন। তাছাড়া নেতা–কর্মীদের বার্তা দিচ্ছেন। এমনকী রাজ্য সরকারকে আক্রমণ করে চলেছেন। এই পরিস্থিতিতে মিঠুন যেখানে সভা করবেন সেখানে পাল্টা সভা করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস। পুরুলিয়ায় তাই আসছেন বাবুল সুপ্রিয় এবং মহুয়া মৈত্র। এবার দলীয় কর্মীদের ‘ফাটাকেষ্ট’র পাল্টা সভা করার নিদান দিলেন কেষ্ট দা। আদালতের এজলাসে বসেই আজ এই নিদান দিয়েছেন তিনি।
ঠিক কী নির্দেশ দিয়েছেন কেষ্ট? আজ, শুক্রবার তাঁর সঙ্গে আদালতে দেখা করতে এসেছিলেন কয়েকজন কর্মী। সূত্রের খবর, তাঁদের তিনি নির্দেশ দেন, ‘বিজেপির মিঠুন চক্রবর্তীর সভার পাল্টা সভা করতে হবে বীরভূমে। এত বড় সভা করতে হবে যে, যাতে পঞ্চায়েত নির্বাচনে বীরভূমে তৃণমূল ছাড়া আর কিছু না থাকে। সব আসন যেন তৃণমূল পায়।’ অনুব্রত মণ্ডলের এই নির্দেশ পেয়ে সেটা করতে উদ্যোগী হবেন তাঁরা বলে জানিয়ে গিয়েছেন।
আর কী জানা যাচ্ছে? আজ, শুক্রবার গরু পাচার মামলায় অনুব্রত মণ্ডলকে আসানসোলের বিশেষ সিবিআই আদালতে নিয়ে আসা হয়। শুরু হয় শুনানি। আর ১৪ দিনের ফের জেল হেফাজতের নির্দেশ দেওয়া হয়। এখানেই দেখা করতে এসেছিলেন কয়েকজন নেতা–কর্মীরা। তখনই পঞ্চায়েত নির্বাচনের স্ট্র্যাটেজি নিয়ে তাঁদের নির্দেশও দিতে দেখা গেল কেষ্টকে। বীরভূম জেলা তৃণমূল কংগ্রেসের সহ–সভাপতি মলয় মুখোপাধ্যায়–সহ বেশ কয়েকজন অনুব্রতের সঙ্গে দেখা করেন। তাঁকে ঠাকুরের ফুলও দেন অনেকে।
কর্মীদের সঙ্গে কেমন কথা হল কেষ্টর? নামপ্রকাশে অনিচ্ছুক এক কর্মী বলেন, ‘জেলায় দলের সাংগঠন নিয়ে খোঁজ নেন ‘কেষ্টদা’। আগামী ২৭ নভেম্বর মিঠুনের বীরভূম সফরের কথা রয়েছে। তা শুনে কেষ্টদা পাল্টা সভা করার নির্দেশ দিয়েছেন। দাদা বলেছেন, এত বড় সভা করতে হবে যাতে পঞ্চায়েত নির্বাচনে সব আসন তৃণমূলই পায়।’