SSC দুর্নীতির মতোই গরু পাচারকাণ্ডকে ঘিরেও পরতে পরতে রহস্য। তদন্তে উঠে আসছে একের পর এক চাঞ্চল্যকর তথ্য। সূত্রের খবর, গরু পাচারের ক্ষেত্রে একেবারে চেন সিস্টেমে কমিশনের টাকা আসত নির্দিষ্ট তহবিলে। আর সেই তহবিলের সঙ্গে নাম জড়িয়েছে তৃণমূলের বীরভূম জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল ও তার দেহরক্ষী সায়গলের নাম। ইতিমধ্যেই একাধিক ব্যক্তি জানিয়েছেন তোলাবাজি ও পাচারের গোটা কমিশনই নগদে নেওয়া হত। কিন্তু জেলা থেকে সেই বিপুল টাকা আসত কীভাবে? এনিয়েই এবার চমকে দেওয়ার মতো তথ্য় আসছে।
জেলার পাচারচক্রের চাঁইদের কাছ থেকে টাকা সরাসরি পৌঁছে যেত সায়গলের কাছে। আর কোন গাড়িতে কত টাকা আসছে তার বিবরণ আসত সায়গলের হোয়াটস অ্যাপে। সেই মেসেজের তথ্য এসেছে তদন্তকারীদের কাছে। তাতে দেখা গিয়েছে নির্দিষ্ট ক্যাশ ভ্যানে করে টাকা আসত তাদের কাছে। মূলত বেসরকারি সংস্থার ক্যাশভ্যানে করে গরু পাচারের কমিশনের টাকা আসত। ঠিক যেভাবে বিভিন্ন বেসরকারি এটিএমে টাকা ভরার জন্য কাজ করে ক্যাশ ভ্যান। অনেকটা সেভাবেই বিভিন্ন জেলা থেকে আসত টাকা। আর গোটা বিষয়টি নিয়ন্ত্রণ করত সায়গল। অভিযোগ এমনটাই। কিন্তু তার কিছুই কি জানতেন না অনুব্রত ?
কিন্তু কী হত এই বিপুল টাকা দিয়ে? সূত্রের খবর কালো টাকাকে সাদা করার নানা পন্থা নেওয়া হয়েছিল। নামে বেনামে কেনা হত সম্পত্তি। একাধিক চালকলেরও সন্ধান পাচ্ছেন তদন্তকারীরা। এর সঙ্গে কেনা হত জমি। পাশাপাশি ট্রাস্টের মাধ্যমেও প্রচুর বিনিয়োগ করা হয়েছে বলেও প্রাথমিকভাবে জানা গিয়েছে।