গরু পাচারকাণ্ডের তদন্তে নেমে আজ আরও এক চালকলে হানা দেয় সিবিআই। সোমবার সকালে বীরভূমে ‘শিবশম্ভু রাইসমিলে’ অভিযান চালান সিবিআই তদন্তকারীরা। কিন্তু অনুব্রতর নামে যে বিপুল সম্পত্তি রয়েছে তা শুধু চালকলেই সীমাবদ্ধ নয়। সিবিআই-এর দাবি, চালকল ছাড়াও স্টোন ক্রাশার, জমি, হোটেল, বাড়ি সহ একাধিক সম্পত্তি কিনেছেন অনুব্রত। এই আবহে আদালতে রিপোর্ট পেশ করে সিবিআই দাবি করেছে, তাদের স্ক্যানারে ১৮টি ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট রয়েছে। ইতিমধ্যেই ৮টি ব্যাঙ্ককে নোটিশ পাঠানো হয়েছে। (আরও পড়ুন: ৮ মাসের অন্তঃসত্ত্বার পেটে লাথি, অভিযোগ তৃণমূল বিধায়ক-কাউন্সিলরের লোকের বিরুদ্ধে)
সিবিআই-এর নজরে থাকা ১৮টি ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টের মধ্যে সবকটি যে অনুব্রত বা তাঁর পরিবারের নামে, এমনটা নয়। জানা গিয়েছে, অনুব্রত ঘনিষ্ঠ বা অনুব্রতর জন্য কাজ করত, এমন ব্যক্তির ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টেও নজর দিয়েছে সিবিআই। এই ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টগুলি খতিয়ে দেখছে সিবিআই তদন্তকারীরা। অনুব্রতর কেনা সব বেনামী সম্পত্তির খোঁজ পেতে চাইছে সিবিআই। আগামী বুধবার অনুব্রতকে আদালতে পেশ করা হবে। তার আগে এই ১৮টি ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টের নেপথ্যে লুকিয়ে থাকা রহস্য ভেদ করতে চাইছেন তদন্তকারীরা।
আরও পড়ুন: দলের ‘কঠিন সময়ে’ আক্ষেপ সৌগতর, ‘কিছু নেতার জন্য বদনাম দল’, বিস্ফোরক সাংসদ
এর আগে গত বুধবার বিভিন্ন ব্যাঙ্কে অনুব্রতর আত্মীয়দের নামে থাকা ১৬ কোটি ৯৭ লক্ষ টাকা বাজেয়াপ্ত করে সিবিআই। অনুমান, গরুপাচারের টাকা আত্মীয়দের নামে ফিক্সড ডিপোজিট করে রেখেছিলেন অনুব্রত। সিবিআই-এর দাবি, ২০১৫ সাল থেকে অনুব্রত ও তাঁর পরিবারের আয় দ্রুত গতিতে বৃদ্ধি পায়। তদন্তকারীদের দাবি, ২০১৫-২০১৮ সালের মধ্যে গরুপাচারের টাকার কমিশনে কেনা হয়েছে বিপুল সম্পত্তি।
আরও পড়ুন: স্বাধীনতা দিবসে চটুল নাচের আয়োজন, উদ্দাম নাচ তৃণমূল নেতার, ওড়ালেন টাকা
এদিকে বীরভূমের আরও এক রাইসমিলে সিবিআই হানা দেয় আজ সকালে। এই তল্লাশি অভিযান ঘিরে অনুব্রত মণ্ডলের অস্বস্তির পরিমাণ বাড়তে পারে বলে মনে করা হচ্ছে। সূত্রের দাবি, এই রাইস মিল অনুব্রত ঘনিষ্ঠের। সম্পর্কে অনুব্রত মণ্ডলের দিদি ও জামাইবাবু এই রাইসমিলের মালিক। জানা গিয়েছে, অনুব্রতর দিদি শিবানী ঘোষের নামে রয়েছে শিবশম্ভু রাইসমিলটি। অন্যদিকে অনুব্রত মণ্ডলের ভাগ্নে রাজা ঘোষের নামও উঠছে এই রাইস মিল ধরে।