পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের সময় টাকার পাহাড় উদ্ধার হয়েছিল তাঁর ঘনিষ্ঠ হিসেবে পরিচিত অভিনেতা অর্পিতা মুখোপাধ্যায়ের ফ্ল্যাট থেকে। এদিকে অনুব্রত মণ্ডলের ক্ষেত্রে টাকার পাহাড় উদ্ধার না হলেও বিপুল সম্পত্তির হদিস মিলেছে। অনুব্রত মণ্ডলের দেহরক্ষী সায়গল হোসেনের সম্পত্তির পরিমাণে ইতিমধ্যে মাথা ঘুড়ে গিয়েছে তদন্তকারীদের। এবার তাঁদের নজরে অনুব্রত মণ্ডলের মেয়ে সুকন্যার ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে। তাছাড়া অনুব্রত ঘনিষ্ঠ আরও ১২ থেকে ১৫ জনের উপর সিবিআই নজর রেখেছে বলে জানা গিয়েছে। (আরও পড়ুন: বাড়িতে কত টাকা নগদ রাখা যায়? কী বলছে আয়কর দফতরের নিয়ম)
সায়গলের বিরুদ্ধে যে চার্জশিট দাখিল করা হয়েছে তাতে অনুব্রত মণ্ডলের নাম রয়েছে। সিবিআই তদন্তকারীদের দাবি, কেষ্টর হয়েই টাকা নিতেন তাঁর দেহরক্ষী। সেভাবেই বিপুল সম্পত্তির মালিক হয়েছেন সায়গল। এখনও পর্যন্ত কেষ্টর দেহরক্ষীর থেকে কী কী সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করেছেন তদন্তকারীরা? ডোমকলে ৩৬টি জমির প্লট (বাজার দর ২ কোটি ৫৮ লাখ টাকা), বোলপুরে ৭ টি জমির প্লট (বাজার দর ১ কোটি ৫ লাখ টাকা), সিউড়িতে ৭টি জমির প্লট (বাজারদর ৭২ লাখ টাকা), বীরভূমের অন্যত্র পাঁচটি জমির প্লট (বাজার দর ৮৫ লাখ টাকা), নিউটাউন এলাকায় একটি ফ্ল্যাট (বাজার দর ১০ লাখ), বিমানবন্দর নিউটাউন এলাকায় ৩টি ফ্ল্যাট (বাজার দর ৬০ লাখ টাকা), ইলামবাজারে একটি পেট্রোল পাম্প, ২টি লরি, ৩৭ লাখ টাকার গয়না এবং সাড়ে চার লাখ টাকা নগদ।
আরও পড়ুন: জেলে বসে খাতা-কলম নিয়ে কষলেন ‘অঙ্ক’, পার্থর জেল রুটিনে ব্যতিক্রম
এই আবহে সিবিআইয়ের অভিযোগ, গরু পাচার সহ বিভিন্ন বেআইনি কর্মকাণ্ডে যুক্ত ছিলেন অনুব্রত। এবং সায়গল হোসেন তাঁর সহযোগী ছিলেন। বেআইনি উপায়ে যে টাকা উপার্জন হয়েছে, তার হিসেব মেলাতে চাইছেন তদন্তকারীরা। সিবিআই-এর ৮০ পাতার সাপ্লিমেন্টারি চার্জশিটে ৪৫টি সম্পত্তির উল্লেখ রয়েছে। এই আবহে অনুব্রতর মেয়ের উপরও নজর রয়েছে সিবিআইয়ের। খতিয়ে দেখা হচ্ছে, বাবার সঙ্গে কটি অ্যাকাউন্ট রয়েছে সুকন্যার? তাঁর নামে কত সম্পত্তি? এদিকে জানা গিয়েছে, কেষ্টর পরিচিত বেশ কয়েকজনের নামে সম্পত্তির খোঁজ মিলেছে। এই ব্যক্তিদের নামের তালিকা তৈরি করা হচ্ছে। আরও বিপুল পরিমাণ সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করা হতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে।