বাংলা নিউজ > বাংলার মুখ > অন্যান্য জেলা > কেষ্ট দিল্লিতে, বীরভূমে বিজেপির গুড়-বাতাসা, 'সুঁটিয়ে আর লাল করবে না কেউ'

কেষ্ট দিল্লিতে, বীরভূমে বিজেপির গুড়-বাতাসা, 'সুঁটিয়ে আর লাল করবে না কেউ'

এভাবেই বীরভূমে ঢাক নিয়ে মিছিল করল বিজেপি। 

বিজেপির বীরভূম জেলা সভাপতি ধ্রুব সাহা জানিয়েছেন, আমরা হোলি খেলছি। বিকালে চড়াম চড়াম ঢাক বাজাব। শেষ বাজা বাজিয়ে দেব। আর এরপর বীরভূমে চড়াম চড়াম ঢাক কেউ বাজাবে না। গুড় বাতাসা দেওয়া হবে। এদিন বাস্তবিকই বিকালে ঢাক নিয়ে চড়াম চড়াম বাজিয়ে মিছিল করে বিজেপি।

রাজ্যের গন্ডি ছাড়িয়ে দোলেই দিল্লি যাত্রা হয়েছে গরু পাচার মামলায় অভিযুক্ত অনুব্রত মণ্ডলের। আর বাংলার গন্ডি ছাড়াতেই বীরভূমের বহু এলাকায় যেন স্বস্তির ছবি। বিগতদিনে অনুব্রত নিজেও হোলির আনন্দে মাততেন। আর এবার কেষ্টহীন বীরভূমে একেবারে অন্য় হোলির আনন্দে মাতলেন বীরভূমবাসী। এই দিনটার জন্যই যেন অপেক্ষা করছিলেন সাধারণ মানুষ। 

বিগতদিনে বিরোধীদের চমকাতে গুড় বাতাসা বিলি, চড়াম চড়ামের দাওয়াই দিতেন অনুব্রত। তবে এবার সেই চড়াম চড়াম শব্দবন্ধই যেন ব্যুমেরাং হয়ে ফিরে আসছে তৃণমূলের দিকে। বীরভূমের একাধিক জায়গায় ঢাক নিয়ে হোলি খেলতে বের হওয়ার পরিকল্পনা করেছেন বিজেপির নেতা কর্মীরা। তাঁদের হাতে গেরুয়া আবির। কেউ কেউ আবার গুড় বাতাসাও বিলি করছেন । দিল্লির মাটিতে যখন  দুঃস্বপ্নের প্রহর গুনছেন কেষ্ট মণ্ডল, তখন বীরভূমের লাল মাটিতে যুদ্ধ জয়ের আনন্দে ভাসছেন বিজেপির নেতা কর্মীরা। তাঁদের সঙ্গে সাধারণ মানুষও শামিল হয়েছেন এই আনন্দ উৎসবে। অনেকেই যেন হাঁফ ছেড়ে বেঁচেছেন। 

বীরভূমের বিজেপির জেলা সভাপতি অন্যান্য নেতা কর্মীদের নিয়ে ঘুরে বেড়াচ্ছেন পাড়ায় পাড়ায়। সাধারণ মানুষকে কাছে পেয়েই জড়িয়ে ধরছেন। হাতে গেরুয়া আবির উঠে আসছে অন্যের গালে। তিনি বলছেন, বীরভূমে যেন একটাই কথা আজ ঘুরছে আহা কী আনন্দ আকাশে বাতাসে।

এদিকে এর আগে আসানসোল জেল থেকে মঙ্গলবার কেষ্ট মণ্ডলের গাড়ি বের হতেই বিজেপির স্থানীয় নেতা কর্মীরা গোবর জল দিয়ে গোটা এলাকা ধুয়ে দেন। কার্যত প্রতীকী অর্থেই তারা এভাবে রাস্তা ধুয়ে শুদ্ধিকরণ করেন। 

বিজেপির বীরভূম জেলা সভাপতি জানিয়েছেন, আমরা হোলি খেলছি। বিকালে চড়াম চড়াম ঢাক বাজাব। শেষ বাজা বাজিয়ে দেব। আর এরপর বীরভূমে চড়াম চড়াম ঢাক কেউ বাজাবে না। গুড় বাতাসা দেওয়া হবে। বিকালে হরিনাম সংকীর্তন করব। আহা কী আনন্দ আকাশে বাতাসে। বীরভূমের মানুষ গণতন্ত্র ফিরে পাবে। রাস্তায় আর উন্নয়ন দাঁড়িয়ে থাকবে না। কেউ সুঁটিয়ে লাল করবে না। ভোট লুঠ হবে না। যারা এই ধরনের কাজ আগামী দিনে করার কথা ভাববেন তারা একবার কেষ্ট মণ্ডলের হালটা দেখেই তারপর করবেন। দু একটা লোক ফুটেজ খাওয়ার জন্য নানুর, কীর্ণাহার থেকে নানা কথা বলছেন। কিন্তু এসব বেশিদিন লাভ হবে না। আজ আনন্দের আবির খেলা। আজ রঙ দে গেরুয়া।মুড়ির টিনে করে টাকা গিয়েছে। আশা করি সত্যি কথাটা তিনি বলবেন। এখনও কেষ্ট মণ্ডলকে সভাপতি থেকে সরাচ্ছে না। আসলে তৃণমূল ভয় পেয়েছে।  

বন্ধ করুন