বরাবরই মেয়ে অন্ত প্রাণ অনুব্রত মণ্ডল। স্ত্রীর মৃত্যুর পরে আরও যেন মেয়েকে আঁকড়ে ধরেছিলেন বাবা অনুব্রত মণ্ডল। কিন্তু সেই অনুব্রতই গরুপাচারকাণ্ডে বর্তমানে জেলবন্দি। আর মেয়ে সুকন্য়াকে বার বার ডেকে পাঠাচ্ছেন ইডির তদন্তকারী আধিকারিকরা। এমনকী দিল্লিতেও ডেকে পাঠানো হচ্ছে তাকে। এই খবর শুনেই কার্যত বাবা হিসাবে কপালে চিন্তার ভাঁজ পড়েছে অনুব্রতর। এমনটাই সূত্রের খবর।
টানা তিনদিন মেয়ে সুকন্যাকে জেরা করেছে ইডি। সূত্রের খবর, মেয়ের খবর জানতেই টিভি থেকে চোখ সরাচ্ছেন না কেষ্ট মণ্ডল। শেষ পর্যন্ত ইডির তদন্তে কী উঠে আসছে, সুকন্য়া কী পরিস্থিতিতে রয়েছে সেটাই জানার চেষ্টা করছেন অনুব্রত। এমনটাই সূত্রের খবর। এনিয়ে কিছুটা চিন্তায় পড়ে যান তিনি। এরপরই টিভিতে দুচোখ আটকে আছে তার। এর সঙ্গেই যুক্ত হয়েছে বিগতদিনের ছায়াসঙ্গী তথা দেহরক্ষী সায়গল হোসেনকে তিহাড় জেলে পাঠানোর খবর। এই খবর শুনে কি আরও বেশি মনমরা হয়ে গেলেন বীরভূমের দাপুটে তৃণমূল নেতা কেষ্ট মণ্ডল?
সূত্রের খবর, আচমকাই যেন চুপচাপ হয়ে গিয়েছেন অনুব্রত। বেশি কথা বলতে চাইছেন না। মুখে চোখেও চিন্তার ছাপ স্পষ্ট। কারাকর্মীদের সঙ্গেও বিশেষ কথা বলতে চাইছেন না গরু পাচার মামলায় অভিযুক্ত অনুব্রত মণ্ডল। অন্য়দিকে সুকন্য়া মণ্ডলের সম্পত্তির পরিমাণ নিয়ে উঠছে নানা প্রশ্ন। সেই প্রশ্নের উত্তর খোঁজার চেষ্টা করছেন তদন্তকারী আধিকারিকরা।
সূত্রের খবর এমনিতেই বেশ রাত পর্যন্ত জেগে থাকেন কেষ্ট মণ্ডল। ইদানিং সেই রাত জাগার পরিমাণ যেন বাড়িয়ে দিয়েছেন অনুব্রত।