অনুব্রতর কোটি টাকার লটারি জয় রহস্যের সমাধানে লটারির দোকানে হানা দিল সিবিআই। শুক্রবার বোলপুরের চিত্রা মোড়ে লটারির দোকানে হানা দেন সিবিআইয়ের গোয়েন্দারা। সেখানে দোকানের কর্মচারীদের জিজ্ঞাসাবাদ করেন তাঁরা। বেশ কিছু নথি সংগ্রহ করেন। গোয়েন্দাদের অনুমান, লটারির মাধ্যমে কালো টাকা সাদা করেছেন অনুব্রত।
গত ১৭ জানুয়ারি ডিয়ার লটারির ১ কোটির প্রথম পুরস্কার জেতেন অনুব্রত। সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়ে যায় লটারি সংস্থা থেকে প্রকাশিত সেই খেলার ফল। তাতে স্পষ্ট দেখা যায় অনুব্রত মণ্ডলের ছবি ও নাম। এমনকী জেলার নামও লেখা ছিল সেখানে। এর পরই শুরু হয় গুঞ্জন। দাদা যে লটারি কাটেন তা জানা ছিল না তাঁর অনেক অনুগামীরও। তবে কিছুদিন পর বিষয়টি ধামাচাপা পড়ে যায়।
অনুব্রতর গ্রেফতারির পর ফের প্রশ্ন উঠতে শুরু করে তাঁর লটারিলাভ নিয়ে। গোয়েন্দাদের অনুমান, লটারিলাভ আসলে অনুব্রতর কালো টাকা সাদা করার খেলা। সূত্রের খবর, এব্যাপারে অনুব্রতকে জিজ্ঞাসাবাদ করেও কোনও জবাব পাওয়া যায়নি। ফলে ১০ মাস পর নিজে থেকেই তদন্তে নেমেছেন গোয়েন্দারা। গোয়েন্দারা জানতে পারেন, বাপি গঙ্গোপাধ্যায় নামে এক লটারি বিক্রেতার কাছ থেকে লটারি কিনেছিলেন অনুব্রত। বুধবার তাঁকে তলব করে সিবিআই। তিনি সিবিআইয়ের গোয়েন্দাদের জানান, বোলপুরের চিত্রা মোড়ের রাহুল লটারি সেন্টার নামে স্টকিস্টের কাছ থেকে লটারি কিনেছিলেন তিনি।
শুক্রবার সেখানে হানা দেন সিবিআইয়ের গোয়েন্দারা। সেখানে গিয়ে কর্মীদের সঙ্গে কথা বলেন। জানতে চান, অনুব্রত মণ্ডল লটারি কাটতে নিজে আসতেন কি না। এর পর সেখান থেকে বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ নথি সংগ্রহ করেন। দোকানের মালিক শেখ আইনুলকে রতন পল্লিতে সিবিআইয়ের ক্যাম্প অফিসে দেখা করতে বলেন তাঁরা। সেই মতো এদিনই সিবিআই দফতরে হাজির হয়েছেন আইনুল।
সিবিআই দফতরে ঢোকার আগে তিনি বলেন, ‘আমি রাজীব ধীবর নামে এক সাব স্টকিস্টকে লটারিটা বিক্রি করেছিলাম। এবার সে কাকে বিক্রি করেছে সে-ই বলতে পারবে। আমার কাছে সব প্রমাণ রয়েছে। আমি প্রমাণ নিয়ে যাচ্ছি। লটারি আমার এজেন্সি থেকে ভাঙানো হয়নি।’
বলে রাখি, লটারি জেতার কথা সরাসরি কখনও স্বীকার করেননি অনুব্রত। তবে অস্বীকারও করেননি।