বাংলা নিউজ > বাংলার মুখ > অন্যান্য জেলা > Anubrata Mondal: ‘‌মেয়েকে গ্রেফতার করা অন্যায় কাজ’‌, সুকন্যার সঙ্গে ঘটা ঘটনায় ক্ষোভ অনুব্রতর

Anubrata Mondal: ‘‌মেয়েকে গ্রেফতার করা অন্যায় কাজ’‌, সুকন্যার সঙ্গে ঘটা ঘটনায় ক্ষোভ অনুব্রতর

অনুব্রত মণ্ডল। সংগৃহীত ছবি

তাছাড়া অনুব্রত মণ্ডল মনে করেন মেয়ে কোনও কিছুতে জড়িত নয়। তাই তাঁকে গ্রেফতার করা অন্যায় কাজ। যদিও কেন অন্যায় কাজ?‌ সে কথা সংবাদমাধ্যমের সামনে খোলসা করেননি। সূত্রের খবর, আদালতের কাছে সুকন্যা অনুমতি চান, বাবার সঙ্গে যাতে রোজ অন্তত ১০ মিনিট জেলের ল্যান্ডলাইন থেকে টেলিফোনে কথা বলা যায়। 

একই ছাতার তলায় মুখ দেখাদেখি বন্ধ। আইনি গেরোয় এখন এমনই অবস্থা বাবা অনুব্রত মণ্ডলের সঙ্গে মেয়ে সুকন্যা মণ্ডলের। তিহার জেলেই আছেন দু’‌জনে। একজন নিজের কুঠুরিতে। অন্যজন মহিলা ওয়ার্ডে রয়েছেন। গরুপাচার মামলায় অনুব্রত কন্যা সুকন্যা গ্রেফতার হওয়ার পর এমনই পরিস্থিতি তিহার জেলে। বাবা–মেয়ের মুখোমুখি সাক্ষাতের অনুমতি দেয়নি রাউস অ্যাভিনিউয়ের বিশেষ সিবিআই আদালত। আর এবার সুকন্যাকে গ্রেফতার করা নিয়ে মুখ খুললেন অনুব্রত মণ্ডল।

এদিকে গত ২১ মার্চ থেকে তিহার জেলে বন্দি অনুব্রত মণ্ডল। রবিবার সুকন্যাকেও ১৩ দিনের জন্য পাঠানো হয়েছে সেখানে। তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ, গরু পাচারের টাকা লেনদেনে জড়িত। একজন স্কুলশিক্ষিকা হয়ে কী করে তাঁর নামে ব্যাঙ্কে কোটি কোটি টাকা এল? কেনই বা তাঁর নামে দু’টি কোম্পানি? এই অভিযোগের ভিত্তিতে গত বুধবার নয়াদিল্লিতে সুকন্যাকে গ্রেফতার করা হয়। জিজ্ঞাসাবাদের জন্য প্রবর্তন ভবনে তিনদিন নিজেদের হেফাজতে রাখা হয়েছিল। আবার ১২ মে সুকন্যাকে আদালতে পেশ করা হবে।

ঠিক কী বলেছেন অনুব্রত?‌ অন্যদিকে গরুপাচার মামলায় ধৃত অনুব্রত মণ্ডলকে আজ সোমবার আদালতে তোলা হয়। তখন মেয়ের গ্রেফতারের ঘটনা নিয়ে মুখ খোলেন তিনি। মেয়েকে গ্রেফতার করা অন্য়ায় হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন অনুব্রত। তিনি বলেন, ‘‌মেয়েকে গ্রেফতার করা অন্যায় কাজ।’‌ আদালতের অনুমতিতে ইডি উভয়কে মুখোমুখি জেরায় বসালে আলাদা কথা, না হলে একই জেলে থেকেও বাবা–মেয়ের দেখা হবে না। আর তাই অনুব্রত মণ্ডল রয়েছেন অন্য কুঠুরিতে। সুকন্যা মণ্ডলকে রাখা হয়েছে মহিলা ওয়ার্ডে।

কেন সুকন্যাকে গ্রেফতার করা অন্যায় কাজ?‌ মেয়ে সুকন্যাকে খুব ভালবাসেন অনুব্রত মণ্ডল। তাই মেয়ে যখন যা আবদার করেছে সেটাই তাঁকে দিয়েছেন বীরভূম তৃণমূল কংগ্রেসের জেলা সভাপতি। সুকন্যা মাতৃহারা হওয়ার পর থেকেই তাঁকে আরও আগলে রাখেন বাবা অনুব্রত মণ্ডল। তাছাড়া অনুব্রত মণ্ডল মনে করেন মেয়ে কোনও কিছুতে জড়িত নয়। তাই তাঁকে গ্রেফতার করা অন্যায় কাজ। যদিও কেন অন্যায় কাজ?‌ সে কথা সংবাদমাধ্যমের সামনে খোলসা করেননি। সূত্রের খবর, আদালতের কাছে সুকন্যা অনুমতি চান, বাবার সঙ্গে যাতে রোজ অন্তত ১০ মিনিট জেলের ল্যান্ডলাইন থেকে টেলিফোনে কথা বলা যায়। দিল্লিতে থাকা ঘনিষ্ঠ বান্ধবীর সঙ্গে টেলিফোনে কথা বলা এবং দু’টি বই সঙ্গে রাখার আবেদনও জানান সুকন্যা। সুকন্যার আইনজীবী মারফত জানা গিয়েছে, ‘শ্রীশ্রী মায়ের কথা (অখণ্ড)’ এবং স্বামী বিবেকানন্দর ‘পত্রাবলী’— এই দু’টি বই পড়তে চান সুকন্যা। এই অনুরোধে কোনও আপত্তি করেনি ইডি। আদালতকে তাঁরা জানিয়েছে, ‘জেল কর্তৃপক্ষ অনুমতি দিলে আমাদের কোনও আপত্তি নেই।’

বন্ধ করুন