ইলামবাজারে পথ দুর্ঘটনার কবলে পড়ল অনুব্রত মণ্ডলের দেহরক্ষীর গাড়ি। পণ্যবোঝাই ডাম্পারের সঙ্গে মুখোমুখি সংঘর্ষে মৃত্যু হল অনুব্রত মণ্ডলের দেহরক্ষীর কন্যা–সহ দু’জনের। গাড়িচালকের অবস্থাও আশঙ্কাজনক। দুমড়ে মুচড়ে গিয়েছে গাড়িটি। এলাকায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। আর দেহ দুটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠিয়েছে পুলিশ।
ঠিক কী ঘটেছে ইলামবাজারে? স্থানীয় সূত্রে খবর, ইদের কেনাকাটা করতে অনুব্রত মণ্ডলের দেহরক্ষী সাইগল হোসেন পরিবারের সঙ্গে দুর্গাপুর গিয়েছিলেন। মঙ্গলবার বেশি রাতে ইলামবাজার হয়ে বোলপুরে ফিরছিলেন। ইলামবাজারের চৌপাহাড়ি মোড়ে দুর্ঘটনা ঘটে। একটি গাড়িতে ছিলেন সাইগলের তিন বছরের মেয়ে এবং বন্ধু মাধব দাস। আর একটি গাড়িতে ছিলেন সাইগল, তাঁর বড় মেয়ে এবং স্ত্রী। এখানেই ডাম্পারের সঙ্গে সংঘর্ষ হয় অনুব্রতর দেহরক্ষী সাইগলের একটি গাড়ির। দুমড়ে মুড়চে গিয়ে বিকট শব্দ শোনা যায়।
পুলিশ সূত্রে খবর, ইদের কেনাকাটা সেরে দুটি গাড়িতে করে বোলপুরে ফিরছিলেন তৃণমূল কংগ্রেসের বীরভূম জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডলের দেহরক্ষী সাইগল হোসেন, তাঁর স্ত্রী, শিশুকন্যা–সহ কয়েকজন। দেহরক্ষীর স্ত্রী ও শিশুকন্যার সঙ্গে তাঁর বন্ধু মাধব দাস ছিলেন একটি গাড়িতে। ওই গাড়িটিই দুর্ঘটনার কবলে পড়ে। ডাম্পারের ধাক্কায় মৃত্যু হয় তৃণমূল নেতার দেহরক্ষীর শিশুকন্যা এবং বন্ধুর। ডাম্পার চালক পলাতক। দেহ দুটি ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে। গোটা ঘটনা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
উল্লেখ্য, এখন কলকাতায় আছেন অনুব্রত মণ্ডল। তিনি অসুস্থ। সেই অসুস্থতার জেরেই এসএসকেএম হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন তিনি। এখন নিউটাউনের ফ্ল্যাটে আছেন। ১৭ দিন হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন তিনি। এখন ছাড়া পেয়েছেন। তাঁর শরীরের নানা পরীক্ষা করা হচ্ছে। তার মধ্যেই দেহরক্ষীর পরিবারে নেমে এলো শোকের ছায়া।