দীর্ঘ সওয়াল–জবাবের পর ১৪ দিনের জেল হেফাজত হল অনুব্রত মণ্ডলকে। কারণ তাঁর জামিনের আবেদন খারিজ হয়ে গিয়েছে। সুতরাং আগামী ৭ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত তাঁকে থাকতে হবে আসানসোলের জেলে। এমনই নির্দেশ দিয়েছেন সিবিআইয়ের বিশেষ আদালতের বিচারক। কিন্তু এই নির্দেশের ফলে একটা অঘটন ঘটে গেল। সেটা হল পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের সঙ্গে অনুব্রত মণ্ডলের সাক্ষাৎ অধরা রয়ে গেল। কারণ পার্থ চট্টোপাধ্যায় রয়েছেন প্রেসিডেন্সি জেলে।
তাঁদের সাক্ষাতের সম্ভাবনা কী তৈরি হয়েছিল? প্রেসিডেন্সি জেল সূত্রে খবর, বেশ কয়েকদিন আগে যখন অনুব্রত মণ্ডলকে গ্রেফতার করেছিল সিবিআই তখন এই সম্ভাবনা তৈরি হয়েছিল। এখানের একটি সেল পর্যন্ত পরিষ্কার–পরিচ্ছন্ন করে রাখা হয়েছিল। আর জেলের টিভিতে অনুব্রত মণ্ডলের খবর শুনে এক কারারক্ষীকে পার্থ চট্টোপাধ্যায় জিজ্ঞাসা করেছিলেন, এখানে কি অনুব্রত মণ্ডল আসছে? উত্তরে কারারক্ষী তাঁকে বলেছিলেন, তাঁর এমন খবর জানা নেই।
তারপর ঠিক কী ঘটল? তারপর থেকে কেষ্টর জন্য অপেক্ষায় ছিলেন পার্থ। কিন্তু সেই অপেক্ষাই সার হল। কারণ আসানসোল আদালতের অদূরেই সংশোধনাগার। আপাতত দু’সপ্তাহ সেখানেই থাকবেন অনুব্রত মণ্ডল। এই জেলে রয়েছেন গরুপাচার মামলায় ধৃত অনুব্রত মণ্ডলের প্রাক্তন দেহরক্ষী সায়গল হোসেনও। তবে আলাদা সেলে থাকবেন অনুব্রত মণ্ডল। অনুব্রত মণ্ডলকে তাঁর ডাক নাম কেষ্ট বলেই ডাকতেন পার্থ। প্রেসিডেন্সি জেলে এলে কেষ্ট বলে ডেকে একটু মনের বোঝা হালকা করবেন ভেবেছিলেন একদা দলের মহাসচিব। কিন্তু সেটা হল না।
আর কেষ্ট কী করবেন? আজ, বুধবার আদালতের রায় শুনে কোনও প্রতিক্রিয়া তাঁর থেকে মেলেনি। তবে চুপ করে সিবিআইয়ের গাড়িতে উঠে পড়েন। আত্মবিশ্বাসী মেজাজ শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত ছিল। কিন্তু আজ সিবিআইয়ের গাড়িতে ওঠার পর আকাশের দিকে একবার তাকালেন অনুব্রত মণ্ডল। কিছু একটা বললেন। যা কেউ শুনতে পায়নি। আগামী ৭ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত অনুব্রত মণ্ডলের ঠিকানা আসানসোলের জেলই। এরপর জল কোনদিকে গড়ায় সেটাই দেখার।