এক তৃণমূল কর্মীর গলা টিপে ধরার অভিযোগের প্রেক্ষিতে অনুব্রতকে গ্রেফতার করেছিল পুলিশ। আজ সকালেই কেষ্টকে আসানসোল সংশোধনাগারে গিয়ে গ্রেফতার করে রাজ্য পুলিশ। এরপর অনুব্রতকে দুবরাজপুর আদালতে তোলা হয়। অনুব্রতর বিরুদ্ধে তৃণমূল কর্মীকে ‘খুনের চেষ্টা’র অভিযোগে মামলা রুজু হয়েছে। এই আবহে তৃণমূল জেলা সভাপতিকে ৭ দিনের পুলিশি হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছে আদালত।
প্রসঙ্গত, দিল্লির রাউস অ্যাভিনিউ কোর্ট গতকালই নির্দেশ দেয়, রাজধানীতে নিয়ে গিয়ে অনুব্রত মণ্ডলকে জেরা করতে পারবে ইডি। তবে দুবরাজপুর আদালতের নির্দেশের ফলে অনুব্রতকে এখনই দিল্লি নিয়ে যেতা পারছে না ইডি। জানা গিয়েছে, অনুব্রতকে যাতে কেন্দ্রীয় তদন্তকারীরা দিল্লিতে না নিয়ে যেতে পারে, এর জন্য সোমবার গভীর রাত পর্যন্ত বৈঠক করে তৃণমূল নেতারা। এই আবহে মঙ্গলবার সকাল সকাল অনুব্রতকে আসানসোলের বিশেষ সংশোধানাগার থেকে বের করে আনা হয়। সকাল আটটা নাগাদ কেষ্টকে গাড়িতে তোলা হয়। তাঁকে দুবরাজপুর নিয়ে যাওয়া হয়।
এদিকে গতকালই দুবরাজপুর থানায় তৃণমূল কর্মী শিবঠাকুর মণ্ডল অভিযোগ দায়ের করেন অনুব্রতর বিরুদ্ধে। তাঁর অভিযোগ, শিবঠাকুর বিজেপিতে যোগ দিতে পারেন, এই সম্ভাবনার কথা শুনে অনুব্রত দুবরাজপুরের পার্টি অফিসে তাঁকে ডেকে পাঠান। সেখানেই অনুব্রত তাঁর গলা টিপে ধরেন বলে অভিযোগ। উল্লেখ্য, দুবরাজপুরের মেজে গ্রামের বাসিন্দা শিবঠাকুর মণ্ডল বালিজুড়ি গ্রামপঞ্চায়েতের তৃণমূল প্রধান ছিলেন। যদিও বিরোধীদের একাংশের অভিযোগ, কেষ্টর দিল্লি যাত্রা রুখতেই এই গোটা মামলা। প্রসঙ্গত, সিবিআইয়ের হাতে গ্রেফতার হয়ে অনুব্রত জেলে ছিলেন। সেখানে কীভাবে রাজ্য পুলিশ তাঁকে গ্রেফতার করল? তা নিয়ে ইতিমধ্যেই প্রশ্ন উঠেছে।