লক্ষ্মীরতন শুক্লা মন্ত্রিসভা–ত্যাগ করার পর তৃণমূল কংগ্রেসের অন্দরেই নানা মতামত উঠে আসছে। স্বয়ং তৃণমূলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় মেনে নিতে পারলেও কুণাল–অরূপ তা মেনে নিতে পারেননি। যার ফলেই তির্যক মন্তব্য ধেয়ে এসেছিল লক্ষ্মীর দিকে। এবার লক্ষ্মীরতন শুক্লাকে ভেড়ার পালের সঙ্গে তুলনা করলেন তৃণমূলের বীরভূম জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল।
মঙ্গলবার মন্ত্রীত্ব ছেড়েছেন লক্ষ্মীরতন। বুধবার সেটাকেই কটাক্ষ করে অনুব্রত বলেন, ‘দেখবেন কখনও কখনও ভেড়ার পাল কোনও কৃষকের গোয়ালে ঢুকে পড়ে। আবার উৎসবের সময় ৩০টা বেরিয়ে যায়। তাতে মালিকেরই বা কি, গোয়ালেরই বা কি।’ এই মন্তব্য নিঃসন্দেহে লক্ষ্মীর উদ্দেশ্যে বলেই মনে করছেন রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকরা।
মুরারই ১ নম্বর ব্লকের পলসা কারবালা মাঠে তৃণমূলের জনসভায় প্রধান বক্তা ছিলেন অনুব্রত মণ্ডল। সেখানে তিনি বলেন, ‘মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় রাজ্যে ৬৮টি প্রকল্প চালু করেছেন। দিদি বাংলায় না থাকলে অন্ধকার নেমে আসবে। বিজেপি বলুক ওরা ক্ষমতায় এলে প্রকল্পগুলি চালু রাখবে। ওরা বাংলাকে বিক্রি করে দেবে। তাই ভুল করলে বড় ভুল হয়ে যাবে। আমরা ২২০ থেকে ২৩০টি আসন পাব। আর না পেলে দল ছেড়ে দেব।’
এরপর সভা শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে অনুব্রত বলেন, ‘কেন্দ্রীয় সরকার সিবিআই, ইডির ভয় দেখাচ্ছে। অনেকে ভয়ে পালিয়ে যাচ্ছেন। কিন্তু মনে রাখবেন, আমি ওসব ইডি, সিবিআইকে ভয় পাই না। জেল খাটব, তবু মমতাকে ছাড়ব না।’ সুতরাং অনুব্রতকে নিয়েও যে চর্চা রাঙামাটিতে হচ্ছিল তাতে জল ঢেলে দিলেন তিনি। বিজেপিতে তিনি যাচ্ছেন না। সম্প্রতি বিজেপি’র রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ বলেছিলেন, ‘আসতে চাইলে অনুব্রত মণ্ডলের বিষয়টি ভেবে দেখা হবে।’ যা এদিন খারিজ করে দিলেন নেত্রীর কেষ্ট স্বয়ং।