বিশ্বভারতী নিয়ে সম্মুখসমরে তৃণমূল–বিজেপি। তৃণমূলের অভিযোগ ছিল, ঐতিহ্যের বিশ্বভারতীতে অমিত শাহ বিজেপি নেতাদের নিয়ে গিয়ে রাজনীতি করেছেন। কবিগুরুর কাছে এই সফর অরাজনৈতিক নয়। এই বিষয়ে গেরুয়া শিবির কিন্তু কোনও প্রতিক্রিয়া দিতে পারেনি। এই বিতর্কের মধ্যেই বীরভূমের তৃণমূল সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, ‘এতদিন বিশ্বভারতী নিয়ে রাজনীতি করিনি। এবার আর হাত গুটিয়ে বসে থাকব না।’
এদিকে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ও বিজেপি নেতৃত্বকে বিশ্বভারতীতে ঢুকতে দেওয়ায় তীব্র সমালোচনার মুখে পড়েছেন বিশ্বভারতীর উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তী। তাঁকেও একহাত নেন অনুব্রত। তিনি বলেন, ‘উপাচার্য পদে থেকে উনি যদি বিশ্ববিদ্যালয়ে বিজেপিকে নিয়ে পাগলামিতে শামিল হন তাহলে ছেড়ে কথা বলব না। বিশ্বভারতীতে ঢুকে তৃণমূলের পতাকা টাঙিয়ে দেব। এত দিন বিশ্বভারতী নিয়ে মাথা ঘামাইনি আমরা। রাজনীতি করিনি। এবার আমরাও সক্রিয় রাজনীতি করব।’
অন্যদিকে আগামী ২৯ ডিসেম্বর, মঙ্গলবার বোলপুরে পথসভার আয়োজন করেছে তৃণমূল। তাতে নেতৃত্ব দেওয়ার কথা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের। ঠিক হয়েছে, রবিবার যে পথে অমিতের পথসভা এগিয়েছিল, সেই পথেই বোলপুরের ডাকবাংলো ময়দান থেকে চৌরাস্তা পর্যন্ত মমতার নেতৃত্বে তৃণমূলের পথসভা হবে। সেখানে ১ হাজার বাউল অংশ নেবেন বলে জানিয়েছেন অনুব্রত।
যেদিন অমিত শাহের রোড–শো হয়েছিল সেদিন বিকেলে বঙ্গধ্বনি যাত্রা করেছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের আদরের কেষ্ট। এবার ১ হাজার বাউলকে নিয়ে পথে নামবেন তাঁরা। এমনকী যে বাসুদেব বাউলের বাড়িতে পাতপেড়ে খেয়েছিলেন বিজেপি নেতৃত্ব, তাঁকেও মিছিলে দেখা যেতে পারে বলে জানান অনুব্রত। ভোটযুদ্ধে ১ ইঞ্চি জমিও ছাড়বেন না বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন অমিত শাহ। তারই পাল্টা চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে দিয়েছেন অনুব্রত।