তাঁর নামে জেলায় বাঘে-গরুতে এক ঘাটে জল খায়। জেলায় তৃণমূলের চন্দ্র-সূর্য তিনি। এহেন অনুব্রত মণ্ডলকে মঙ্গলবার দেখা গেল না দলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সভামঞ্চে। গোটা সভায় মাত্র ১ বার মমতার মুখে শোনা গেল তাঁর নাম। অথচ এদিনের সভার প্রধান আয়োজক ছিলেন অনুব্রতবাবুই। তার পরও এই ‘বঞ্চনা’-য় হতবাক দাদার অনুগামীরা।
সম্প্রতি অনুব্রত মণ্ডলের কথাবার্তায় বৈপ্লবিক পরিবর্তন এসেছে। মাস কয়েক আগেও বিরোধীদের উদ্দেশে যেমন আগুন ঝরাতেন সেই তেজ উধাও। তাই বলে অমিত শাহের পালটা সভার চ্যালেঞ্জ নিতে ২ বার ভাবেননি। বলেছিলেন ২.৫ লক্ষ লোক হবে। পূরন করেছেন সেই লক্ষ্য। কিন্তু দিদির পাশে মঞ্চে ঠাঁই হয়নি।
এদিন বোলপুরে লজ মোড় থেকে জামবুনি পর্যন্ত মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পদযাত্রায় দেখা যায়নি অনুব্রতকে। ঘনিষ্ঠরা বলছেন, দাদা ‘হেভিওয়েট’, দিদির যে গতিতে হাঁটেন তাতে পেরে উঠবেন না জেনেই ময়দানে নামেননি। কিন্তু বীরভূমে মমতার দলীয় মঞ্চে অনুব্রত নেই। এমন দৃশ্য শেষ কে কবে দেখেছেন মনে করতে পারছেন না। এমনকী সরাসরি সম্প্রচারেও খুব বেশি দেখা যায়নি তাঁকে।
মমতার মঞ্চে মঙ্গলবার দেখা মিলেছে স্থানীয় সাংসদ অসিত মাল, বীরভূমের সাংসদ শতাব্দী রায়ের। ছিলেন বাসুদেব দাস বাউল ও লক্ষ্মণদাস বাউল। কিন্তু অনুব্রত মণ্ডল ছিলেন না মঞ্চে। সভার শেষে যদিও কেষ্টকে একবার স্মরণ করেন দিদি।
অনুব্রত মণ্ডলের প্রতি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের এই আচরণের তীব্র প্রতিবাদ জানিয়েছে বিজেপি। দলের মুখপাত্র সায়ন্তন বসু বলেন, ‘রবীন্দ্রনাথের ভাবধারা, দর্শন নিয়ে আলোচনা হচ্ছে। আর এব্যাপারে বিদগ্ধ মানুষটিই ছিলেন না? হয়তো ইচ্ছা করেই তাঁকে শো কেসে রাখা হয়নি। নইলে ইমেজ খারাপ হয়ে যাবে তো!’