বীরভূমের তৃণমূল জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডলের সঙ্গে সাংসদ শতাব্দী রায়ের দূরত্বের কথা নানা সময় প্রকাশ্য়ে এসেছে। এনিয়ে চর্চাও কিছু কম হয়নি এতদিন। বার বার এনিয়ে দল পড়েছে অস্বস্তিতে। তবে রাজনৈতিক মহলের মতে, ভোটের ফলাফল তৃণমূলের অনুকূলে যেতেই দুপক্ষের মধ্যে সেই আগের দূরত্ব এখন অনেকটাই মিটছে বলে ইঙ্গিত মিলছে ক্রমশ। তবে দলের একাংশের মতে, ভোটের কিছুদিন আগেই দুপক্ষের মধ্যে ভুল বোঝাবুঝি মেটানোর প্রক্রিয়া শুরু হয়েছিল। ভোটের ফলাফল তৃণমূলের অনুকূলে যেতেই সেই পথ অনেকটাই মসৃন হয়েছে। মঙ্গলবার প্রায় বছর তিনেক বাদে সিউড়ি পুরসভায় পুরসভার বৈঠকেও হাজির ছিলেন শতাব্দী রায়। প্রসঙ্গত এর আগে সাংসদের দেওয়া অ্যাম্বুল্যান্স ফিরিয়ে দেওয়ার ঘটনাকে ঘিরে পুরকর্তৃপক্ষ ও সাংসদের মধে বিরোধ চরমে উঠেছিল। সেই ফাটল যে অনেকটাই মেরামত হয়েছে তার ইঙ্গিতও মিলেছে এদিন। আর এই দূরত্ব প্রসঙ্গে সংবাদ মাধ্যমের সামনে শতাব্দীর উত্তর, তাই কী, দূরত্ব তো ছিল না।
পাশাপাশি এদিন বীরভূম জেলায় তিনটি বৈঠকে যোগ দিয়েছিলেন সাংসদ শতাব্দী রায়। জেলাশাসক, জেলার স্বাস্থ্য দফতরের আধিকারিকদের সঙ্গেও করোনা পরিস্থিতি সহ নানা বিষয় নিয়ে বৈঠক করেন তিনি। সাংসদ তহবিল থেকে কিছু অনুদান দেওয়ার ব্যাপারেও কথাবার্তা হয়েছে এদিন। তবে শুধু সরকারি বৈঠক নয়, সিউড়িতে তৃণমূলের জেলা কার্যালয়ে দলের জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল সহ অন্যান্য নেতৃত্বের সঙ্গেও বৈঠক করেন তিনি। আর সেই বৈঠক শেষে যাবতীয় দূরত্বের জল্পনাকে এক ধাক্কায় সরিয়ে দিয়ে অনুব্রত মণ্ডলের দাবি, ২০২৪য়ে আমাকে আবার দুটো এমপি আসন জিততে হবে। তাতে শতাব্দীরও গুরু দায়িত্ব আছে।