গরু পাচারকাণ্ডেও পেঁয়াজের খোসা ছাড়ানোর মতো একের পর এক তথ্য সামনে আসছে। আর কোথায় অনুব্রতর সম্পত্তি রয়েছে তার খোঁজ চালাচ্ছেন তদন্তকারীরা। আর সেই খোঁজ চালাতে গিয়ে ভোলে ব্যোম রাইস মিলের কাছে সন্ধান মিলল অপর এক রাইস মিলের । গেট বন্ধ অবস্থায় রয়েছে সেই রাইস মিলের। নাম শঙ্কর রাইস মিল। প্রাথমিকভাবে মনে করা হচ্ছে এই রাইস মিলে স্বাভাবিক কাজকর্ম আপাতত বন্ধ রয়েছে।
কিন্তু কিছু লোকজন মাঝেমধ্যে ওই রাইস মিলে আনাগোনা করতেন। চালকলের বিভিন্ন জায়গায় আলো লাগানো রয়েছে। তবে বাসিন্দারা সরাসরি এই রাইস মিল নিয়ে বিশেষ মুখ খুলতে চাননি। তবে বাসিন্দাদের একাংশের মতে, এই চালকলে মাঝেমধ্যেই লোকজন আসে। সন্ধ্যাবেলা আলোও জ্বলে। এখানেই প্রশ্ন চালকলে যদি কাজই না হয় তবে সেখানে কেন সন্ধ্যা হলেই লোকজন আসে? তবে কি রাতের অন্ধকারে কোনও অনিয়ম হত এই চালকলে?
এদিকে ইতিমধ্যেই সিবিআই অনুব্রত ঘনিষ্ঠদের সম্পত্তির খোঁজ করছে। তবে পাচারের টাকাতেই বেনামে কেনা হত চালকল? সেসবই খতিয়ে দেখছেন কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার আধিকারিকরা। ইতিমধ্যে ভোলে ব্যোম রাইস মিলে গিয়ে হতবাক হয়ে গিয়েছেন তদন্তকারী আধিকারিকরা। চালকলের মধ্যে একেবারে বিলাসবহুল গাড়ির সারি। সেই গাড়ি অনুব্রত চাপলেও সেগুলির অবশ্য অন্যের নামে রয়েছে।
সেক্ষেত্রে শঙ্কর রাইস মিলের প্রকৃত মালিক কে তা নিয়ে খোঁজ চলছে। সেই চালকলের মধ্যে কিছু লুকানো রয়েছে কি না সেটাও দেখা হচ্ছে। সেখানেই এবার সিবিআই হানা হয় কি না সেদিকেও নজর রয়েছে অনেকের।