পানিহাটির তৃণমূল কাউন্সিলর অনুপম দত্ত খুনে মূল অভিযুক্ত জামিন পেয়েছে। এই ঘটনা সহ্য করতে পারেননি নিহত কাউন্সিলরের স্ত্রী। তাই এই জামিনের কথা শুনে আত্মহত্যার চেষ্টা করেন নিহতের স্ত্রী তথা বর্তমান কাউন্সিলর মীনাক্ষি দত্ত। এখন তিনি কামারহাটির সাগর দত্ত হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন। অনুপম দত্ত খুনের ঘটনায় জেল হয়েছিল অভিযুক্ত বাপি পণ্ডিতের। তার জামিনের খবর পেয়েই ফ্ল্যাটে সন্তানদের নিয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করেন স্ত্রী মীনাক্ষী।
বিষয়টি ঠিক কী ঘটেছে? অভিযুক্ত জামিন পাওয়ায় পুলিশের ভূমিকা নিয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করেন স্থানীয় বিধায়ক নির্মল ঘোষ। গত ১৩ মার্চ গুলি করে খুন করা হয় কাউন্সিলর অনুপম দত্তকে। ৬ মাস পড়ে জামিন পান অভিযুক্ত প্রসেনজিৎ ওরফে বাপি পণ্ডিত। এই ঘটনার পর পুলিশকে ঘিরে বিক্ষোভ দেখান স্থানীয় তৃণমূল কর্মীরা। রাতে এক ঘণ্টা অবরোধ করা হয় বিটি রোড। আজ, মঙ্গলবার সকাল থেকেই এলাকার পরিস্থিতি সরগরম রয়েছে।
আর কী জানা যাচ্ছে? স্থানীয় সূত্রে খবর, বাপি পণ্ডিতের জামিনের খবর পাওয়ার পরই নিজের ফ্ল্যাটে সন্তানদের নিয়ে আত্মঘাতী হওয়ার চেষ্টা করেন মীনাক্ষী দত্ত। যদিও প্রতিবেশীদের তৎপরতায় তাঁকে উদ্ধার করা হয়। নিহত অনুপম দত্তের স্ত্রী তার বাচ্চাদের নিয়ে ঘরে ঢুকে দরজা বন্ধ করে দেন। তার মা এই কথা প্রতিবেশীদের বললে আন্দোলনকারীরা তার বাড়ির দিকে যায় এবং দরজা ভেঙে তাঁকে উদ্ধার করে।
কী বলছেন এলাকার বিধায়ক? এই ঘটনা নিয়ে পানিহাটির কাউন্সিলর নির্মল ঘোষ বলেন, ‘অত্যন্ত দুঃখজনক ঘটনা। তদন্ত করে তাকে শাস্তি দেওয়ার দায়িত্ব ছিল পুলিশের। কী কারণে কলকাতা হাইকোর্ট থেকে এরা বেল পেল? ৯০ দিনের মধ্যে চার্জশিট দিতে হয়। আমি এতে অখুশি।’