এসএসসি দুর্নীতিতে পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের পর গরু পাচারকাণ্ডে বীরভূমের তৃণমূল নেতা অনুব্রত মণ্ডল গ্রেফতার হওয়ায় অস্বস্তি বেড়েছে তৃণমূলের। আর ঠিক সেই মুহূর্তেই বিস্ফোরক মন্তব্য করে বিজেপিকে অস্বস্তিতে ফেললেন দলের কেন্দ্রীয় সম্পাদক অনুপম হাজরা। তাঁর মন্তব্য, ‘দলের মধ্যেই বিভীষণ রয়েছে।’ ৯ মিনিট ৪০ সেকেন্ডের একটি ফেসবুক লাইভ করে একের পর এক দলের বিরুদ্ধে বোমা ফাটালেন অনুপম হাজরা।
অনুব্রত মণ্ডল গ্রেফতার হওয়ার পরেও বিজেপির স্থানীয় নেতৃত্ব কেন আন্দোলন করছে না? সেই প্রশ্ন তুলে দলের স্থানীয় নেতাদের প্রতি ক্ষোভ উগরে অনুপম বলেন, ‘অনুব্রত গ্রেফতার হওয়ার পরেই রাজ্য জুড়ে উৎসবের চেহারা রয়েছে। অথচ বীরভূমে বিজেপি নেতাদের একাংশ চুপ রয়েছে।’ এখানেই থেমে না থেকে তিনি দলের একাংশ নেতাদের বিরুদ্ধে তৃণমূলের সঙ্গে আঁতাত থাকার অভিযোগ তুলেছেন। তিনি বলেন, ‘আমি তথ্য নিয়ে কথা বলি। বীরভূম জেলার অনেক বিজেপি নেতার তৃণমূলের সঙ্গে যোগ রয়েছে। সেই সমস্ত বিজেপি নেতারা তৃণমূলের দয়াতেই জীবন যাপন করছে।’ এই বিস্ফোরক অভিযোগ সামনে এনে আগামী দিনে সেই সমস্ত নেতাদের নাম ফাঁস করে দেওয়ার হুঁশিয়ারি দিয়েছেন অনুপম হাজরা।
দলের নেতাদের আক্রমণ করে তিনি আরও বলেন, ‘ওই সমস্ত নেতাদের হাতে যতই দাদার হাত থাকুক আমি চুপ থাকব না।’ তিনি বলেন, ‘অনুব্রত মণ্ডল গ্রেফতার হওয়ার পরে বীরভূমের অনেক নেতাদের মধ্যেই সেরকমভাবে উৎসাহে দেখা যাচ্ছে না। এই সময় বীরভূমে জায়গা তৈরি করার জন্য বিশেষ কর্মসূচি নিতে দেখা যাচ্ছে না বিজেপি নেতাদের। অথচ এমন অনেকেই রয়েছেন যারা পদে নেই তারা আমার সঙ্গে দেখা করার জন্য উৎসাহিত রয়েছেন।’ তিনি মনে করেন, অনুব্রত গ্রেফতারের হওয়ার পরে স্থানীয় নেতৃত্বের উচিত ছিল আন্দোলন গড়ে তোলা। এই নিয়ে বিজেপির অন্দরে শোরগোল পড়ে গিয়েছে। যদিও বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার এ বিষয়ে কোনও মন্তব্য করতে চাননি। তিনি বলেন, ‘উনি কী বলেছেন আমি জানি না। ওর সঙ্গে কথা বলব।’ তবে অনুপম হাজরার এরকম বেফাঁস মন্তব্যে স্বাভাবিকভাবেই অস্বস্তিতে বিজেপি।