কোভিডের দ্বিতীয় ঢেউ আছড়ে পড়েছে গ্রাম বাংলাতেও। একের পর এক মৃত্যুর খবর সামনে আসছে। কিন্তু রাজ্যের গ্রামীণ এলাকাতেও কোভিডে মৃত্যু হওয়ার পর দেহ সৎকারকে ঘিরে হয়রানির অভিযোগ উঠছে। শহর কলকাতার পাশাপাশি জেলাগুলিতেও দেখা যাচ্ছে মৃতদেহ আগলে ঘণ্টার পর ঘণ্টা বসে থাকছেন পরিজনরা। কিন্তু দেহ সৎকারের ক্ষেত্রে এগিয়ে আসার মতো কেউ নেই। গত বছর এই ধরনের নানা নজির ছিল। এবারও গ্রামীণ এলাকা থেকেও বিক্ষিপ্তভাবে এই ধরণের অভিযোগ উঠে আসছে। অন্যদিকে উত্তরপ্রদেশ, বিহার. মধ্যপ্রদেশের নদীতে একাধিক লাশ ভেসে থাকার খবরও আসছে বাংলায়। কোনওভাবেই যাতে এই পরিস্থিতির মধ্যে বাসিন্দাদের পড়তে না হয় সেব্যাপারে আগাম সতর্ক পদক্ষেপ নিচ্ছে রাজ্য সরকার। সার্বিকভাবে কোনও ঝুঁকি নিতে চাইছে না রাজ্য সরকার। শহরের মতো এবার গ্রামীণ এলাকাতেও কোভিডে মৃতদের দেহ সৎকারের জন্য বিশেষ উদ্যোগ রাজ্য সরকারের।
গোটা বিষয়টি তদারকির জন্য প্রতিটি জেলায় নোডাল অফিসার নিয়োগ করা হয়েছে। পঞ্চায়েত ও গ্রামোন্নয়ন দফতর এব্যাপারে তালিকাও প্রকাশ করেছে। সেই তালিকায় ২২টি জেলার ৩৪২টি ব্লকের নোডাল অফিসারদের নাম ও ফোন নম্বর দেওয়া থাকছে। কোভিডে মৃতদের একেবারে পূর্ণ মর্যাদার সঙ্গে দেহ সৎকারের ব্যাপারেও সরকারি তরফে বলা হয়েছে।
এই নোডাল আধিকারিকরা ঠিক কী করবেন। দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, ব্লকস্তরে বিডিওদেরও এই প্রক্রিয়ার সঙ্গে যুক্ত করা হয়েছে। বাসিন্দারা দেহ সৎকারের ক্ষেত্রে কোনও সমস্য়ায় পড়লে দায়িত্বপ্রাপ্ত আধিকারিকরাই শববাহী গাড়ি, শ্মশানঘাট বা কবরস্থানের যোগাযোগের ব্যবস্থাটা করে দেবেন। বাসিন্দারা প্রয়োজনে ব্লক অফিসের সঙ্গে এব্যাপারে যোগাযোগ করতে পারেন।