নৌশাদ সিদ্দিকি ছাড়া পেতেই সবর হলে ভাঙড়ের তৃণমূল নেতা আরাবুল ইসলাম। ৪২ দিন পর জেল থেকে ছাড়া পেয়েছেন আইএসএফ বিধায়ক। ফুরাফুরা শরিফে নিজের বাড়িতে ফিরে গিয়েছেন। দলীয় সভায় তাঁর বিরুদ্ধে হুঁশিয়ারি দিয়ে আরাবুল বলেন, ভাঙড়ে তাণ্ডব করতে আসলে নৌশাদকে ছেড়ে কথা বলবে না তৃণমূল।
শনিবার বিকালে ভাঙড়ের বিজয়গঞ্জ বাজারে চালতাবেড়িয়া অঞ্চলে তৃণমূল কর্মীদের নিয়ে একটি সভা করেন। সেখানে বক্তব্য রাখতে গিয়ে তৃণমূল নেতা হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, 'নৌশাদ সিদ্দিকি যদি মনে করেন হাতিশাল-কলকাতায় যে তাণ্ডব চালিয়েছিলেন সে তাণ্ডব আবার ভাঙড়ে চালাবেন, তাহলে তৃণমূল কংগ্রেস ছেড়ে কথা বলবে।' তিনি আরও বলেন,'এখন সিপিএমের কিছু নেতা ওদের সঙ্গে জোট বাধার চেষ্টা করছে। আমাদের চিহ্ণিত করতে হবে তারা কারা। অধিকাংশ সিপিএম আইএসএফ হয়ে গিয়েছে। সিপিএম চলে গেলে আইএসফের আর কিছু থাকবে না।'
অন্য দিকে সভায় বক্তব্য রাখতে গিয়ে ভোগালি ২ গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান মোদাসসের হোসেন বলেন,'২০০৮ সালে সিপিএমকে টপকে আমরা পঞ্চায়েতে এসেছি। এখন রাজ্যের ক্ষমতায় আমরা। নৌশাদ সিদ্দিকি হিরো হতে গিয়েছিলেন ধর্মতলা। ফিরেছেন খলনায়ক হয়ে। আজ যারা জামিন পেয়েছে তারা আবাস যোজনার বাড়ি নিয়েছে আমাদের থেকে।' (কৌস্তভের পাশে আছি! জেল থেকে ছাড়া পেয়ে বললেন নৌশাদ)
২১ জানুয়ারি আইএসএফের প্রতিষ্ঠা দিবসের মিছিলে পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষ বাঁধে দলের কর্মী-সমর্থকদের। সেই সময় নৌশাদ-সহ একাধিক নেতা কর্মীকে গ্রেফতার করা হয়। বৃহস্পতিবার তাঁদের জামিনের নির্দেশ দেয় আদালত। কিন্তু কাগজপত্র সংশোধনাগারে এসে না পৌঁছনোয় তিনি জেলেই ছিলেন। শনিবার সকাল এগারোটা নাগাদ তিনি ছাড়া পান।