নাবালিকা ছাত্রী টিউশনি পড়তে যাচ্ছিল। ওই ছাত্রী যেখানে টিউশনি পড়তে যেত সেই পথে একটি নির্জন জায়গা পড়ে। সেটা পার করেই যেতে হয় ওই নাবালিকাকে। তাই সে সাইকেলে করেই যাতায়াত করত। কিন্তু এবার ওই ছাত্রী সাইকেলে করে যাওয়ার সময় তিনজন দুষ্কৃতী পথ আটকে দাঁড়ায়। একেবারে প্রকাশ্য দিবালোকে ওই ছাত্রীর উপর দুষ্কৃতীরা চড়াও হয় বলে অভিযোগ। তারপর তাকে টেনে হিঁচড়ে নিয়ে যায় নির্জন জঙ্গলে বলেও অভিযোগ উঠেছে। সেখানে তাকে ধর্ষণ করা হয়েছে কিনা এখনও নিশ্চিত নয়। কারণ ওই ছাত্রী এতটাই অসুস্থ হয়ে পড়েছে যে সে কিছুই বলতে পারছে না।
তবে পরিবারের সদস্যদের এতটুকু জানিয়েছে, সাইকেলে করে টিউশনি পড়তে যাওয়ার সময় তিন দুষ্কৃতী পথ আটকায়। তারপর তাকে সাইকেল থেকে নামিয়ে টেনে হিঁচড়ে জঙ্গলে নিয়ে যায়। তারপর জঙ্গলের মধ্যে তার মুখে জোর করে তরল কিছু ওষুধ জাতীয় খাইয়ে দেয়। তারপর তার আর কোনও জ্ঞান ছিল না। ওই অবস্থায় ফেলে দিয়ে যায় তিন দুষ্কৃতী। যখন জ্ঞান ফেরে তখন থেকেই নাবালিকার গলা থেকে পেট জ্বালা করতে শুরু করে। আর তারপর শুরু হয় রক্তবমি। এই ঘটনায় তুমুল আলোড়ন ছড়িয়ে পড়েছে। ওই ছাত্রী ও তাঁর পরিবার পরিজন পুলিশে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন।
আরও পড়ুন: বাড়ি থেকে ভেসে আসছে শিশুর কান্না, দরজা খুলতেই মহিলার নিথর দেহ, রহস্য কোচবিহারে
পুলিশ সূত্রে খবর, আজ সোমবার ওই ছাত্রীর সঙ্গে এই ঘটনাটি ঘটেছে আরামবাগের ডোঙ্গলের বামুনডাঙ্গা এলাকায়। তবে ছাত্রীটি এতটাই অসুস্থ হয়ে পড়েছে যে কথা বলার মতো অবস্থায় নেই। তাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। সুস্থ হলে সবটা জানা সম্ভব হবে। তবে যেটুকু জানা গিয়েছে তার ভিত্তিতে তদন্ত শুরু করা হয়েছে। ওই জঙ্গলে টিম গিয়েছে পুলিশের। কোনও তথ্য মেলে কিনা দেখা হচ্ছে। ওই তিন যুবক কারা সেটাও খতিয়ে দেখা হচ্ছে। হাসপাতাল থেকে তথ্য চাওয়া হয়েছে ওই ছাত্রীকে ধর্ষণ করা হয়েছে কিনা।
পরিবার সূত্রে খবর, এই হামলার ঘটনার পর তড়িঘড়ি ওই ছাত্রীকে আরামবাগ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। আর ওই তিন দুষ্কৃতী মোটরবাইকে করে চম্পট দিয়েছে। পুলিশ তাদের খুঁজছে। তবে পরিবারের সদস্যদের দাবি, এবারই প্রথম নয়। তিন মাস ধরেই ওই ছাত্রীর উপর বেশ কয়েকবার দুষ্কৃতীরা হামলা চালানোর চেষ্টা করে। কিন্তু তা করতে পারেনি। এবার সুযোগ বুঝে হামলা করা হয়েছে। পরিস্থিতি এমন পর্যায়ে পৌঁছেছে যে, ছাত্রীটিকে আরামবাগ মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। সে এখন চিকিৎসাধীন।