উত্তর চব্বিশ পরগনায় সিপিআইএম-এর জেলা সম্মেলন উত্তপ্ত হয়ে উঠল। সোমবার থেকে শুরু হওয়া জেলা সম্মেলনে সূচি এমন ভাবে সাজানো হয়েছিল যাতে সম্মেলনের শেষদিনে রাজ্য নেতৃত্ব জেলার নেতাদের মধ্যকার অন্তর্দ্বন্দ্ব মেটাতে পারেন। আর অন্তর্দ্বন্দ্বের এই আশঙ্কা যে সত্যি হবে, তার ইঙ্গিত মিলল মঙ্গলবারই। বরাহনগর থেকে শুরু করে সল্টলেকের এরিয়া কমিটির সদস্যরা জেলার নেতাদের বিরুদ্ধে সমালোচনার ঝড় তুলেছেন। জেলা সম্পাদক মৃণাল চক্রবর্তী, তন্ময় ভট্টাচার্যদের মতো হেভিওয়েট নেতাদেরর বিরুদ্ধে সরব হয়েছেন নিচু তলার নেতা-কর্মীরা।
উত্তর চব্বিশ পরগনায় সিপিএমের অন্তর্দ্বন্দ্ব বহু কালের। ক্ষমতায় থাকাকালীনও এই জেলায় দ্বন্দ্ব ছিল দুই প্রয়াত নেতা অমিতাভ বসু ও অমিতাভ নন্দীর গোষ্ঠীর মধ্যে। এই আবহে রাজ্যে ক্ষমতা হারোন ১১ বছর পরও এই জেলায় সিপিএমের অন্তর কলহ বজায় রয়েছে। এই পরিস্থিতিতে অস্বস্তিতে পড়তে পারে সিপিএমের জেলা ও রাজ্য নেতৃত্ব। জানা গিয়েছে, এই অন্তর্দ্বন্দ্বের মাঝে মঙ্গলবার অনেক রাত পর্যন্ত বিদায়ী সম্পাদকমণ্ডলীর বৈঠক চলছে। অসুস্থ গৌতম দেবও সেখানেই ছিলেন।
নৈহাটির ঐকতান হলে আজ শেষ হবে সিপিএমের জেলা সম্মেলন। নতুন সম্পাদকমণ্ডলী ও সম্পাদক ঠিক করার ক্ষেত্রে আজ ভোটাভুটি হতে পারে দলের অন্দরে। এমনটাই মনে করছেন জেলা সিপিএমের একাংশ। এর আগে জেলা সম্পাদক বেছে নিতে আলিপুরদুয়ার ও পশ্চিম মেদিনীপুরের জেলা সম্মেলনে ভোটাভুটি হয়েছে। এই আবহে আলিমুদ্দিন সূত্রে খবর, উত্তর চব্বিশ পরগনায় ভোটাভুটি হলে দলের তাবড় নেতাদের হিসেব ওলটপালট হয়ে যেতে পারে।