কুকুর নিয়ে জগদ্ধাত্রী পুজোর প্যান্ডালে ঢোকায় পুজো কমিটির সঙ্গে বিবাদের কয়েক দিনের মধ্যে আত্মঘাতী হলেন এক তরুণী। ঘটনা চন্দননগরের ফটকগোড়ার নন্দ ঘোষ লেনের। নিহত সুশ্রিকা দত্তও ওই পুজো কমিটিরই সদস্য। শনিবার রাতে নিজের ঘর থেকে তাঁর ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হয়। পরিবারের দাবি, পুজো কমিটির সদস্যদের ভর্ৎসনাতে অপমানিত হয়েই আত্মঘাতী হয়েছেন তিনি।
আরও পড়ুন - মত্ত অবস্থায় ঘরে ঢুকে প্রতিবেশীর শ্লীলতাহানির অভিযোগ, খাস কলকাতায় গ্রেফতার সিভিক
পড়তে থাকুন - আরজি কর হাসপাতালে এবার নার্সিং ছাত্রীর আত্মহত্যার চেষ্টা, তুলকালাম কাণ্ড ঘটল
ঘটনার সূত্রপাত জগদ্ধাত্রী পুজোর ষষ্ঠীর দিন। সেদিন পোষ্য ২ কুকুরকে নিয়ে স্থানীয় চন্দননগরের অন্যতম ঐতিহ্যবাহী ফটকগোড়ার পুজো মণ্ডপে গিয়েছিলেন বছর তেইশের সুশ্রিকা। তাদের মধ্যে একটি কুকুরকে নিয়ে মণ্ডপে ঢোকেন তিনি। বলে রাখি, ফটকগোড়ার মণ্ডপটি স্থায়ী নির্মাণ। প্রতিবছর পুজো হয় একই মণ্ডপে। অভিযোগ, কুকুর নিয়ে মণ্ডপে প্রবেশ করায় সুশ্রিকাকে ভর্ৎসনা করেন পুজো কমিটির এক প্রবীণ সদস্য। মণ্ডপ থেকে বেরিয়ে যেতে বলেন তিনি। এর পর বাড়ি ফিরে ফেসবুকে ‘চন্দননগর’ নামে একটি গ্রুপে ঘটনার কথা লিখে পুজো কমিটির বেশ কয়েকজন সদস্যকে তিনি কাঠগড়ায় তোলেন।
অভিযোগ, পুজো কমিটির তরফে সোশ্যাল মিডিয়ায় পালটা পোস্ট করে সুশ্রিকাকেই ঘটনার জন্য দায়ী করা হয়। এর পর পুরনো পোস্ট মুছে দিয়ে পুজো কমিটির সদস্যদের কাছে ক্ষমা চেয়ে ফের পোস্ট করেন তরুণী। এর পর অন্যান্য কমেন্টে প্রশ্ন তুলতে থাকেন, কেন তিনি ক্ষমা চাইছেন?
এসবের মধ্যেই শনিবার রাতে ঠাকুর দেখতে বেরিয়েছিলেন সুশ্রিকার বাবা - মা। ফিরে এসে দেখেন মেয়ে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মঘাতী হয়েছে। পুলিশ এসে দেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্ত করতে নিয়ে যায়।
আরও পড়ুন - নানুরের চণ্ডীদাস কলেজে চটুল নাচ ছাত্রছাত্রীদের, উড়ছে টাকা, নবীনবরণ ঘিরে বিতর্ক
তবে পুজো কমিটির তরফে সুশ্রিকার আত্মহত্যার সঙ্গে সেদিনের ঘটনার যোগ থাকার কথা অস্বীকার করা হয়েছে। কমিটির সাধারণ সম্পাদক বিপ্লব দাস বলেন, ‘ষষ্ঠীর রাতে মণ্ডপে অনেক ভিড় ছিল। তখন কুকুর নিয়ে আসায় অব্যবস্থা তৈরি হচ্ছিল। তাই আমরা তখন কুকুর রেখে আসতে বলি। বিষয়টি তখনই মিটে গিয়েছিল। কিন্তু সোশ্যাল মিডিয়ায় কে কী পোস্ট করেছে বলতে পারব না।’