ঘটনা দুই সপ্তাহ আগের... তখনও বিজেপিতে অর্জুন সিং। কিন্তু দলবদলের জল্পনা তখন তুঙ্গে। এহেন পরিস্থিতিতে জগদ্দলের তৃণমূল বিধায়ক সোমনাথ শ্যামের সঙ্গে একটি ধর্মীয় অনুষ্ঠানে মঞ্চ ভাগ করে নিয়েছিলেন অর্জুন ও তাঁর পুত্র পবন। সেই অনুষ্ঠানের প্রায় দুই সপ্তাহ পর, আজ অর্জুন তৃণমূলে। তাঁর জন্য একটি সংবর্ধনা অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছিল জগদ্দলে। শনিবার সেই অনুষ্ঠানে হামলা চালায় দুষ্কৃতীরা। এই ঘটনায় অর্জুন ঘনিষ্ঠদের অভিযোগের আঙুল উঠেছে জগদ্দলের তৃণমূল বিধায়ক সোমনাথ শ্যামের দিকে।
অর্জুন সিং তৃণমূলে যোগদানের পর থেকেই ভাটপাড়া তথা ব্যারাকপুর লোকসভা কেন্দ্রের বিভিন্ন জায়গায় তৃণমূলের তরফ থেকে সংবর্ধনা দেওয়ার প্রতিযোগিতা চলছে। সেই মতো শনিবারও ১৭ নম্বর ওয়ার্ডে স্থানীয় তৃণমূলের তরফ থেকে সন্ধ্যায় সংবর্ধনা ব্যবস্থা করে অনুষ্ঠান মঞ্চ তৈরি হয়। সেখানে হঠাৎই ৩ জন দূস্কৃতী এসে চেয়ার-টেবিল, মাইক, বক্স ভাঙচুর করে পালিয়ে যায়।
ঘটনার পর স্থানীয় তৃণমূল নেতা সঞ্জয় সিং বলেন, ‘জগদ্দলের বিধায়কের ভাই মনোজ পান্ডে, ভাগ্নে রাজ পান্ডে ও স্থানীয় ব্যবসায়ী কালাবাবু চেয়ার-টেবিল ভাঙচুর করে। এলাকার লোকজনকে ধমকায় মারধর করে।’ বিধায়কের দিকে আঙুল তোলেন জগদ্দলের ১০ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর সত্যেন রায়ও। তিনি সংবাদমাধ্যমকে বলেন, ‘এসব করেছেন বিধায়কের লোকেরাই। তৃণমূলের বড় নেতারা অর্জুন সিংকে মেনে নিতে পারছেন না।’ যদিও ঘটনা প্রসঙ্গে জগদ্দলের বিধায়ক সোমনাথ শ্যাম বলেন, ‘এবিষয়ে আমি কিছু জানি না। যদি কিছু হয়ে থাকে প্রশাসন ব্যবস্থা নেবে।’ অপরদিকে সংবর্ধনা অনুষ্ঠানের পর সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে অর্জুন সিং বলেন, ‘কিছু অসামাজিক লোক এই ঘটনা ঘটিয়েছে। একটি উদাহরণ দিয়ে বলেন পিঁপড়ে হাতিকে