সম্প্রতি নকশালবাড়ির তৃণমূল নেতা ফ্রান্সিস এক্কার বাড়ি থেকে উদ্ধার হয়েছে পরমাণু বোমা তৈরিতে ব্যবহৃত রাসায়নিক ‘ক্যালিফোর্নিয়াম’। যার এক গ্রামের দাম ১৭ কোটি টাকা! তবে তার কাছে কীভাবে এল এই ক্যালিফোর্নিয়াম? তা নিয়ে ঘনীভূত হচ্ছে রহস্য। সেই আবহে এবার এই রাসায়নিক নিয়ে বিস্ফোরক দাবি করলেন বিজেপি নেতা অর্জুন সিং। তাঁর দাবি, এই রাসায়নিক পদার্থ রাশিয়ায় বেশি তৈরি হয়ে থাকে। রাশিয়া থেকে বাংলাদেশ হয়ে এ রাজ্যে এসেছে ক্যালিফোর্নিয়াম। আর এই ধরনের রাসায়নিক দিয়েই বিজেপির একাংশ নেতাকে খুনের পরিকল্পনা রয়েছে তৃণমূলের। তাঁর দাবি, নবান্ন বিজেপি নেতাদের খুন করার নির্দেশ দিয়েছে। আর এমনভাবে খুন করার পরিকল্পনা রয়েছে যাতে কেউ বুঝতে না পারে।
আরও পড়ুন: 'শুভেন্দুদার উপর বিশ্বাস করে…' বিস্ফোরক অর্জুন, ২০২৬এ জেতার রাস্তাও দেখালেন
টেন্ডার দুর্নীতি মামলায় সিআইডি জিজ্ঞাসাবাদের মুখোমুখি হচ্ছেন অর্জুন সিং। বৃহস্পতিবার তিনি দ্বিতীয়বার ভবানী ভবনে সিআইডির কাছে হাজিরা দেন। প্রথমবার যখন তিনি হাজিরা দিয়েছিলেন সেই সময় তিনি দাবি করেছিলেন তাঁকে রাসায়নিক স্প্রে করে খুন করা হতে পারে খুন করার চক্রান্ত করা হয়েছে। আর দেখা গেল বৃহস্পতিবার নকশালবাড়ি থেকে এই রাসায়নিক উদ্ধার হল। এদিন সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে অর্জুন সিং জানান, ক্যালিফোর্নিয়াম নামে এই রাসায়নিকের এক গ্রামের দাম ১৭ কোটি টাকা। এটি পরমাণু বোমা তৈরির জন্য ব্যবহার করা হয়। এটি এতটাই ক্ষতিকারক যে এর পাশ দিয়ে সতর্কতা ছাড়া গেলেও নাকি শরীর গলে গলে খসে খসে যে কেউ একমাসের মধ্যে মারা যায়।
অর্জুন সিং জানান, এর আগে যখন তিনি সিআইডি তলবে গিয়েছিলেন তখনও তিনি জানিয়েছিলেন যে রাসায়নিক স্প্রে করে বিজেপি নেতাদের খুনের চক্রান্ত করছে তৃণমূল। এ নিয়ে তাদের কাছে নির্দিষ্ট তথ্য ছিল। এমন ভাবে খুন করা হবে যাতে কেউ ধরতে না পারে। তিনি জানান, এই রাসায়নিক পদার্থ থেকে নির্গত তেজষ্ক্রিয় শরীরের সব অক্সিজেন শেষ করে দেয়।
উল্লেখ্য, গত বৃহস্পতিবার যে তৃণমূল নেতার বাড়ি থেকে এই রাসায়নিক উদ্ধার হয়েছে তার স্ত্রী তৃণমূলের পঞ্চায়েত সদস্যা। তবে অর্জুনের এই দাবি মানতে নারাজ তৃণমূল। তাদের বক্তব্য, এটা একটা হাস্যকর যুক্তি। আসলে বিজেপির কাছে কোনও ইস্যু নেই তাই তারা এসব মনগড়া কথা বলছে। অর্জুন সিং এই রাসায়নিক বাংলায় আসার জন্য রাজ্য প্রশাসন এবং পুলিশকে দায়ী করেছেন। তবে তৃণমূল নেতারা জানাচ্ছেন, রাজ্য পুলিশই এই রাসায়নিক উদ্ধার করেছে এবং অভিযুক্তকে গ্রেফতার করেছে। তার কাছ থেকে বেশকিছু নথি উদ্ধার হয়েছে। জানা গিয়েছে, বৃহস্পতিবার ধৃতকে আদালতে তোলা হলে তার ৫ দিনের পুলিশ হেফাজতের নির্দেশ দেন বিচারক।