শনিবার এড়িয়েছিলেন সমঝোতা বৈঠক। তার পর ২৪ ঘণ্টা কাটতে না কাটতে ফের নাম না করে অর্জুন সিংকে জেলে ভরার হুঁশিয়ারি দিলেন বীজপুরের তৃণমূল বিধায়ক সোমনাথ শ্যাম। জানালেন, তাঁর কাছে হলুদ ফাইল আছে।
এদিন সোমনাথ বলেন, ‘বলছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ছাড়া বাকি যা নেতা আছে সব হ্যাঙারে তারা কিন্তু সেই সময় একথা বলে রাখেনি। কেন ভুলে গিয়েছিল সেই সময়? কেন ২০১৯ – ২০২১ এ তারা একথা মনে রাখেনি? তাহলে তো তারা তৃণমূল ছেড়ে ওই সাম্প্রদায়িক দলে যোগ দিত না। আর তৃণমূলের সৈনিকদের খুন করত না। তারাই কিন্তু করেছে। আরা নিজের স্বার্থে, নিজের দরকারে ফিরে এসেছে। তৃণমূল কংগ্রেসের একনিষ্ঠ কর্মী হয়ে থাকলে সেদিন কেন দলীয় কর্মীদের হত্যা করছিলে, তাদের বাড়ি ভাঙছিলে’?
নাম না করে অর্জুনকে আক্রমণ করে তিনি বলেন, ‘একের পর এক তৃণমূল কর্মী খুন হয়ে যাচ্ছে। এর কিনারা হচ্ছে না। এর কিনারা করা দরকার। সাদা পোশাক পরে তারা পালিয়ে বেড়াচ্ছে। তাদের ধরতে হবে। নইলে আরও খুন হবে। সেজন্য ২০২২ সালে গোপাল মজুমদার খুনের ফাইল খুলে আবার তদন্ত করা হোক। তাহলে বোঝা যাবে তৃণমূল কংগ্রেসে থেকে কারা দলের ক্ষতি করতে চাইছে। প্রমাণ বার করেছি। হলুদ ফাইলের সেই প্রমাণ বার করেছি। ৪০/২০২২ এর পুরো তথ্য আমার কাছে আছে। পুলিশ কমিশনারকে দেব। মমতা ও অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে দেব’।
একই সঙ্গে তাঁর প্রত্যয়ী ঘোষণা, ‘সোমনাথ অর্থাৎ শিবের মাথাতেই আগামীতে সবাইকে জল ঢালতে হবে। এই অর্জুন একদিকে পাণ্ডব, অন্যদিকে কৌরবের সঙ্গে কথা বলছেন। ভোটের আগে কোন ডালে বসে সেদিকে নজর রাখতে হবে।’
অর্জুন ও সোমনাথের বিবাদ মেটাতে শনিবার নৈহাটি পৌরসভায় দীর্ঘক্ষণ অপেক্ষা করেন তৃণমূলের রাজ্য সভাপতি সুব্রত বক্সি। অর্জুন এলেও সেখানে দেখা যায়নি সোমনাথকে। এর পর সোমনাথ জানান, বৈঠকের খবর তাঁর কাছে ছিল না।