আবার বিপুল পরিমাণ আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধার হল। রাজ্য এসটিএফের তৎপরতায় আবার উদ্ধার হল বেআইনি আগ্নেয়াস্ত্র। এই বেআইনি আগ্নেয়াস্ত্র পাচারের খবর গোপন সূত্রে পেয়ে ছিলেন এসটিএফের অফিসাররা। সেই মতো পরিকল্পনা করা হয়। আর তাতেই ধরা পড়ে যায় তিনজন অস্ত্র ব্যবসায়ী। সঙ্গে সঙ্গে তাদেরকে গ্রেফতার করা হয়। তাদের কাছ থেকেই বেশি পরিমাণ বেআইনি আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধার করা হয়েছে। গোটা বিষয়টি নিয়ে শোরগোল পড়ে গিয়েছে।
ঠিক কী মিলেছে অস্ত্র ব্যবসায়ীদের থেকে? এসটিএফ সূত্রে খবর, ধৃতদের থেকে তিনটি পিস্তল, ১৪ রাউন্ড গুলি এবং ৬টি ম্যাগাজিন উদ্ধার হয়েছে। সোমবার মাঝরাতে অস্ত্র উদ্ধার হয়েছে পূর্ব বর্ধমান জেলার কাটোয়া রেল স্টেশনে। এই ব্যবসায়ীরা অস্ত্র পাচারের সঙ্গে জড়িত। গ্রেফতার হওয়া তিনজনের মধ্যে একজন বিহারের বাসিন্দা। বাকি দু’জন মুর্শিদাবাদ জেলার বাসিন্দা। বিহারের মুঙ্গের থেকে বেআইনি অস্ত্র আনা হচ্ছিল খবর পায় অফিসাররা। বিহার থেকে আসা বেআইনি অস্ত্র নিতে মুর্শিদাবাদ থেকে কাটোয়া স্টেশনে এসেছিল দু’জন অস্ত্র ব্যবসায়ী। কাটোয়া স্টেশনে তারা লুকিয়ে অপেক্ষা করছিল। আর অস্ত্র হাত–বদলের সময় অভিযুক্তদের গ্রেফতার করা হয়।
আর কী জানা যাচ্ছে? রাজ্য এসটিএফের কাছে এই অস্ত্রপাচারের খবর আসায় তখন পরিকল্পনা করা হয়। তারপরই কাটোয়া রেল স্টেশনে হানা দেন এসটিএফের অফিসাররা। আর অস্ত্রপাচারের সময়ই বমাল ধরে ফেলা হয় তিন পাচারকারীকে। তাদের কাছ থেকে তিনটি পিস্তল, ১৪ রাউন্ড কার্তুজ এবং ৬টি ম্যাগাজিন উদ্ধার হয়। বিহার থেকে আগ্নেয়াস্ত্র পাচার করা হচ্ছিল। বিহারের মুঙ্গেরের বাসিন্দার নাম শ্রীলাল মণ্ডল। আর গ্রেফতার হওয়া বাকি দু’জন মুর্শিদাবাদের বাসিন্দা। কাসওয়ার শেখ এবং সুদীপ খান।
কেন এমন অস্ত্র পাচার হচ্ছিল? এসটিএফ সূত্রে খবর, শ্রীলাল বিহারের মুঙ্গের থেকে অস্ত্র এখানে নিয়ে আসে। এটাই তার কাজ। এখানে অস্ত্র কারবারিদের সে বেআইনি অস্ত্র বিক্রি করে মোটা টাকা রোজগার করে। মুঙ্গেরে অস্ত্র কারখানা আছে। সেখান থেকে এখানে অস্ত্র পাচার করে সে। তাই সে এসেছিল কাটোয়া স্টেশনে। মুর্শিদাবাদ থেকে কাসওয়াল ও সুদীপ সেই অস্ত্র আনতে অর্ডার দিয়েছিল। এই কারণে কাটোয়া জিআরপি থানায় অস্ত্র আইনে মামলা দায়ের করা হয়েছে। ধৃতদের দফায় দফায় জেরা করা হচ্ছে মঙ্গলবার সকাল থেকে। নেপথ্যে মাথা কে? সেটা জানার চেষ্টা করছেন তদন্তকারীরা।