মালদা থেকে বাজেয়াপ্ত প্রায় ২৭০ কেজি কাছিমের খোলসের নীচের অংশ(Turtle calipee)। প্রাথমিক তদন্তে পুলিশের ধারণা এগুলি বাংলাদেশে পাচার করার চেষ্টা করা হচ্ছিল। তার আগেই সেগুলি বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। এই ঘটনায় তিনজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
পুলিশ সূত্রে খবর, অভিযুক্তরা উত্তরপ্রদেশের গোরক্ষপুরের বাসিন্দা। মালদার কোনও এজেন্টের কাছে তারা এগুলি বিক্রি করার জন্য় এসেছিল। বন্যপ্রাণ বিভাগের এক পদস্থ আধিকারিকের মতে, কাছিমের খোলসের নীচে এই বিশেষ উপাদানটি পাওয়া যায়। চিনে এর ভালোই কদর রয়েছে। স্যুপ তৈরিতে এগুলি কাজে লাগে বলে জানা গিয়েছে।
গোপন সূত্রে খবর পেয়ে পুলিশ কালিয়াচকের একটি বাড়িতে তল্লাশি চালায়। সেখানেই একটি নাইলনের বস্তায় এগুলি রাখা ছিল।এদিকে মালদার যে এজেন্ট এগুলি নিয়ে যাবে বলে জানিয়েছিল সে গা ঢাকা দিয়েছে।
পুলিশ জানিয়েছে, তদন্ত চলছে। অভিযুক্তদের বন্যপ্রাণ সুরক্ষা আইনে গ্রেফতার করা হয়েছে। প্রাথমিকভাবে পুলিশ জেনেছে, এগুলি সম্ভবত বাংলাদেশে পাচার করার চেষ্টা হত। এরপর সেগুলি হয়তো চিনে পাঠানো হত। এদিকে বাংলায় অনেক সময় কাছিমের মাংসা খাওয়ার প্রবণতা রয়েছে। কিন্তু কাছিমের শরীরের এই বিশেষ অংশটি খাওয়ার চল বাংলায় নেই।
বনদফতরের আধিকারিকদের মতে, অতীতে দেখা গিয়েছে এই বিশেষ অংশটি গাছের ছাল বলে পাচার করা হত। প্রায় চার বছর পরে এই ধরনের সামগ্রী বাজেয়াপ্ত হল।