আগামী ১৫ জানুয়ারি মকর সংক্রান্তি এ বছর গঙ্গাসাগরে পুণ্যস্নানে অংশগ্রহণ করতে চলেছেন প্রায় ৪০ লাখ পুণ্যার্থী। সোমবার এই তথ্য জানিয়েছেন রাজ্যের পঞ্চায়েত ও গ্রামোন্নয়ন মন্ত্রী সুব্রত মুখোপাধ্যায়।
তাঁর মতে, ‘এ বছর যে হেতু কুম্ভ মেলার মতো বড় মাপের হিন্দু তীর্থস্নান নেই, সেই কারণে এবার গঙ্গাসাগরে চার লাখেরও বেশি পুণ্যার্থী সমাগমের সম্ভাবনা রয়েছে।’
শীর্ষস্থানীয় রাজ্য সরকারি আধিকারিকদের দাবি, মকরসংক্রান্তিতে পুণ্যস্নান সারতে সাগরদ্বীপে ইতিমধ্যেই ভক্তজনের ঢল শুরু হয়ে গিয়েছে। প্রায় দেড় লাখ মানুষে গঙ্গাসাগরে পৌঁছেছেন এবং এখন প্রতি ঘ্ণ্টায় বেড়ে চলেছে পুণ্যার্থীর সংখ্যা। সোমবার সঙ্গমে পুণ্যস্নান সেরেছেন প্রায় ৫০,০০০ পুণ্যার্থী।
কুম্ভ মেলার পরে দেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম পুণ্যার্থী সমাগম গঙ্গাসাগর মেলায় নিরাপত্তা জোরদার করতে বিশেষ উদ্যোগ নিয়েছে রাজ্য। মেলায় মোতায়েন করা হয়েছে প্রায় ১০,০০০ নিরাপত্তাকর্মী। নজরদারির জন্য বসানো হয়েছে অন্তত ৫০০ সিসিটিভি। এ ছাড়া ড্রোন ও হেলিকপ্টারের মাধ্যমেও মেলাপ্রাঙ্গণে কড়া নজর রাখা হচ্ছে বলে প্রশাসনিক সূত্রে জানা গিয়েছে।
পুণ্যার্থীদের স্বাস্থ্য পরিষেবার বিকল্প ব্যবস্থা করতে রাখা হয়েছে এয়ার অ্যাম্বুল্যান্সের ব্যবস্থা। তাঁদের জন্য ৫ লাখ টাকা বিমা সুরক্ষার ব্যবস্থা করেছে রাজ্য সরকার।
রাজ্যের সংখ্যালঘু বিষয়ক মন্ত্রী গিয়াসউদ্দিন মোল্লা জানিয়েছেন, ‘এ বছর মেলাপ্রাঙ্গন এবং সাগরদ্বীপে পৌঁছনোর রাস্তা প্লাস্টিক মুক্ত রাখার বিশেষ উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। দেখামাত্র প্লাস্টিক বর্জ্য সংগ্রহের দায়িত্বে রয়েছেন পুরকর্মী এবং স্বেচ্ছাসেবকরা।’
সাগরদ্বীপে পৌঁছতে নির্মাণ ও সংস্কার করা হয়েছে ২২টি জেটি। এ ছাড়া পুণ্যার্থীদের যাতায়াতের সুবিধার জন্য ৬টি বার্জ, ১৩২টি ভেসেল ও ৪,০০০ বাসের ব্যবস্থা রাখা হয়েছে।
মেলাপ্রাঙ্গনে এর মধ্যেই পৌঁছে গিয়েছেন রাজ্যের ১০ জন মন্ত্রী। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশে বুধবার পর্যন্ত তাঁরা সেখানেই থাকবেন বলে জানা গিয়েছে।
গত সপ্তাহে মমতা অভিযোগ করেন যে, কুম্ভমেলায় কেন্দ্রীয় অনুদান দেওয়া হলেও গুরুত্বের বিচারে কোনও অংশে কম না হওয়া সত্ত্বেও গঙ্গাসাগরের জন্য কোনও আর্থিক সাহায্য দেয় না কেন্দ্রের এনডিএ সরকার।