অন্যান্যদিনের মতোই সাত সকালে একটু রাস্তায় বেরিয়েছিলেন এক গৃহবধূ। আচমকাই কুকুরের হামলা। ওই বধূর দাবি, কিছু বুঝে ওঠার আগেই লাফিয়ে এসে হাতে কামড়ে দিল। কিছুতেই ছাড়াতে পারছিলাম না। কোনওরকমে বাঁ হাত দিয়ে কুকুরটাকে ছাড়াই। এরপরই একের পর এক বাসিন্দাকে কামড়াতে শুরু করে কুকুরটি। এমনটাই দাবি বাসিন্দাদের। পূর্ব মেদিনীপুরের হলদিয়া পুরসভার ৮ নম্বর ওয়ার্ডের কুমারচক এলাকায় শুক্রবার এমনই ভয়াবহ ছিল সকালটা। মণ্ডলপাড়ায় অন্তত আট জনকে কামড়েছে কুকুরটি। এমনকী একেবারে দল বেঁধে এসে ওরা বাসিন্দাদের তাড়া করে বলে অভিযোগ। তবে বাঁশ দিয়ে তাড়া করে কুকুরের দলকে তাড়া করেন এলাকার লোকজন। এদিকে শিশু, মহিলা কাউকেই রেয়াত করেনি কুকুরটি। একটি শিশুর আঙুলের একাংশও খুবলে নিয়েছে কুকুরটি। কয়েকজনের পায়ে, বুকের উপর ঝাঁপিয়ে পড়়ে কুকুরটি। এদিকে গোটা ঘটনায় এলাকায় ব্যাপক আতঙ্ক ছড়িয়েছে।
বাসিন্দাদের দাবি কুকুরের কামড়ে জখম ৮জনকে হলদিয়া মহকুমা হাসপাতালে চিকিৎসা করানো হয়েছে। শরীরের বিভিন্ন অংশ ক্ষতবিক্ষত হয়ে গিয়েছে তাদের। ঘটনার পর থেকে রাস্তায় বেরতেই ভয় পাচ্ছেন বাসিন্দারা। বাসিন্দাদের দাবি এলাকায় কুকুরের সংখ্যা মারাত্মকভাবে বেড়ে গিয়েছে। সন্ধ্যার পর থেকে কুকুরের জ্বালায় রাস্তায় চলা যায় না। কিন্তু সাত সকালে এমনভাবে পাড়ার চেনা কুকুর আক্রমণ করবে তা ভাবতে পারেননি অনেকেই। কুকুরের প্রজনন নিয়ন্ত্রণের ব্যবস্থা করা দরকার বলেও মতামত দিয়েছেন অনেকে।