জল্পনা মতো বড় সাংগঠনিক পদই পেলেন অর্পিতা ঘোষ। রাজ্যসভার প্রাক্তন সাংসদকে রাজ্য তৃণমূল কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব দেওয়া হল। তারইমধ্যে রাজনৈতিক মহলে জল্পনা, পশ্চিমবঙ্গের বাইরের ‘বড়’ কোনও নেতা তৃণমূলে যোগ দিতে পারেন। তাঁর জন্যই রাজ্যসভার আসন রাখা হয়েছে।
শুক্রবার অর্পিতাকে চিঠি দিয়ে রাজ্য তৃণমূলের সভাপতি সুব্রত বক্সি জানান, অবিলম্বে অর্পিতাকে রাজ্য তৃণমূলের সাধারণ সম্পাদক হিসেবে নিয়োগ করা হচ্ছে। 'আমার বিশ্বাস এবং আশা যে (দলের) সংগঠনের উন্নতির জন্য কাজ করবে।'
সেই নিয়োগের মধ্যেই অর্পিতার ছেড়ে দেওয়া আসনে কাকে তৃণমূল পাঠাবে, তা নিয়ে রাজনৈতিক মহলে জল্পনা চলছে। তৃণমূল সূত্রে খবর, ২০২৪ সালে লোকসভা নির্বাচনের আগে পশ্চিমবঙ্গের বাইরে দলের সংগঠনের ছড়িয়ে দেওয়ার লক্ষ্য নিয়েছে তৃণমূল। সেজন্যই অসমের শিলচরের প্রাক্তন সাংসদ সু্স্মিতা দেবকে রাজ্যসভার মনোনয়ন দেওয়া হয়েছে। সেভাবেই অর্পিতার সরিয়ে ভিনরাজ্যের 'বড়' নামকে সেই আসন দেওয়ার পরিকল্পনা আছে তৃণমূলের। সেই 'বড়' নেতা নাকি সর্বভারতীয় স্তরে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ নাম।
কিন্তু কে সেই 'বড়' নেতা? সেই তালিকায় ত্রিপুরার রাজা প্রদ্যোত বিক্রম মানিক্য দেববর্মার নাম উঠে আসছে। যিনি ‘গ্রেটার তিপ্রাল্যান্ডের’ পক্ষে সওয়াল করেছেন। তবে তৃণমূলের একটি অংশের বক্তব্য, প্রদ্যোতকে দলে নিলে তিনি সম্ভবত নিজের লক্ষ্যপূরণের চেষ্টা করবেন বেশি। তাছাড়া তৃণমূলকে রাজ্যকে 'ভঙ্গকারী' হিসেবেও আক্রমণ শানানোর সুযোগ পেয়ে যাবে বিজেপি। যে কৌশল বাংলায় নিয়েছে তৃণমূল। ফলে তাঁকে আদৌও তৃণমূলে নেওয়া হবে কিনা, তা নিয়ে ধন্দ আছে। রাজনৈতিক মহলের জল্পনা, তাহলে কি কংগ্রেসের বিক্ষুব্ধ জি-২৩ গোষ্ঠীর কোনও নেতা তৃণমূলে যোগ দেবেন? আর তাঁকেই রাজ্যসভায় পাঠানো হবে?