গত কয়েকবছর অন্তরালে থাকার পর পাহাড়ে ফিরেছেন মোর্চা নেতা বিমল গুরুং। ধীরে ধীরে পাহাড়ে তাঁর রাজনৈতিক জমি শক্ত করার চেষ্টা করছেন তিনি। আর সেই সুযোগে এবার একেবারে গুরুংয়ের নাম ব্য়বহার করে তোলাবাজির অভিযোগ উঠেছে দুই যুবকের বিরুদ্ধে। সেই অভিযোগে পুলিশ কালিম্পংয়ের দুই বাসিন্দাকে গ্রেফতার করেছে। ধৃতের মধ্যে একজন তারা পারিয়র ও অপরজন দীপেশ ত্রিখোত্রি। এদিকে প্রতারণার অভিযোগে এর আগেও পুলিশের জালে ধরা পড়েছিল দীপেশ।
অভিযোগ মোর্চা ও মোর্চা নেতা বিমল গুরুংয়ের নাম ব্যবহার করে দাগাপুরের কাছে একটি বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের কাছ থেকে মোটা অঙ্কের টাকা দাবি করেছিল তারা। পরে তারা ওই প্রতিষ্ঠান থেকে লাখ খানেক টাকা তোলে বলে অভিযোগ। তবে গোটা ঘটনায় শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের অধ্যক্ষ সঞ্জয় ভট্টাচার্যের সন্দেহ হয়। তিনি গত ১২ই জুলাই সাইবার থানায় এব্যাপারে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। এরপরই তদন্তে নামে পুলিশ।
অভিযুক্তদের খোঁজে তল্লাশি শুরু হয়। মঙ্গলবার কালিম্পংয়ের তিন মাইল সংলগ্ন তাসিডিং বস্তিতে হানা দেয় পুলিশ। সেখান থেকেই পুলিশ প্রথমে তারা পারিয়রকে আটক করে। এরপর তাকে জেরা করে দীপেশকে গ্রেফতার করে পুলিশ। কিন্তু বাস্তবে কী মোর্চার সঙ্গে ধৃতদের কোনও যোগাযোগ রয়েছে। বিমল ঘনিষ্ঠ মোর্চা নেতা রোশন গিরির দাবি, ধৃতরা কেউই দলের সঙ্গে জড়িত নয়।