গত কয়েকদিন ধরেই বনদফতরের কাছে খবর ছিল শিলিগুড়িতে কাস্টমসের গোডাউনে বিপুর পরিমাণ সেগুন কাঠ লুকিয়ে রাখা হয়েছিল। এদিকে বনদফতরও তক্কে তক্কে ছিল। বুধবার কাস্টমস ও জিএসটির আধিকারিকরা একেবারে এসকর্ট করে কাঠবোঝাই ট্রাকটিকে কলকাতায় পাচারের চেষ্টা করছিলেন বলে অভিযোগ। আর তখনই সেই গাড়িকে আটক করে বনদফতর। দুজন কেন্দ্রীয় সরকারি আধিকারিক সহ সাতজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
গোটা ঘটনায় ব্যাপক শোরগোল পড়ে গিয়েছে। অভিযোগ উঠেছে যারা রক্ষক তারাই যদি ভক্ষকের ভূমিকায় থাকেন তবে বিপদ আরও বাড়তে পারে। ধৃতদের মধ্যে অন্যতম কাস্টমস সুপারিন্টেডেন্ট এ কে মাঝি ও জিএসটি অফিসার দেবাশিস ধর রয়েছেন। এদিকে অভিযুক্ত দেবাশিসকে আগেই বিভিন্ন অবৈধ কাজের অভিযোগে সাসপেন্ড করা হয়েছিল। ওই ট্রাকে প্রায় ২৫ লক্ষ টাকার সেগুন কাঠ নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল। এদিকে ওই ট্রাকের চালকের দাবি, তিনটে স্টার লাগানো ইউনিফর্ম পরা একজন অফিসার ট্রাকটির সামনে গাড়ি নিয়ে ছিল। বলেছিল কিছুটা রাস্তা এগিয়ে দেবে।
এদিকে ধৃত এ কে মাঝি বলেন, এগুলি আমরা সিজ করে নিয়ে যাচ্ছিলাম। পুলিশ ধরে ফেলেছে। কিন্তু বনদফতর একথা মানতে চায়নি। বনদফতরের দাবি, কাঠগুলি কলকাতায় পাচার করার চেষ্টা করা হচ্ছিল। ৭জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। জলপাইমোড় থেকে গাড়িটিকে আটক করা হয়েছে। ধৃতদের জন্য ২জন রাজস্ব দফতরের আধিকারিক রয়েছেন। মেঘালয় থেকে কাঠ এসেছিল বলে মনে হচ্ছে। এডিএফও জয়ন্ত মণ্ডল বলেন, অত্যন্ত দুঃখজনক ঘটনা। যাদের রক্ষা করার কর্তব্য তারাই যদি এমন কাজে জড়িয়ে পড়ে।