প্রাক্তন তৃণমূল কাউন্সিলর রূপালি সরকার। কামারহাটি পুরসভার ২৯ নম্বর ওয়ার্ডের প্রাক্তন তৃণমূল কাউন্সিলর। এলাকায় মদন মিত্র ঘনিষ্ঠ বলেই তিনি পরিচিত ছিলেন। এবার তাকেই গ্রেফতার করল পুলিশ। সূত্রের খবর ব্যারাকপুর মহকুমা আদালতে এদিন আত্মসমর্পণ করেন তিনি। একটি খুনের মামলায় পুলিশে তাঁকে গ্রেফতার করেছে। তাকে জেল হেফাজতে পাঠানো হয়েছে। এদিকে শাসকদলের প্রাক্তন কাউন্সিলর গ্রেফতারের ঘটনায় দলের অন্দরেও শোরগোল পড়েছে। এদিকে কলকাতা হাইকোর্টে তাঁকে আত্মসমর্পণের নির্দেশ দিয়েছিল গত এপ্রিল মাসে। এরপর শনিবার তিনি আত্মসমর্পণ করেন। কিন্তু কেন গ্রেফতার করা হল তাঁকে? ঠিক কী অভিযোগ উঠেছিল তাঁর বিরুদ্ধে?
সূত্রের খবর, সময়টা ছিল ২০২০ সালের মে মাস নাগাদ। করোনার দাপটে গোটা এলাকা কার্যত ঘরবন্দি। সেই সময় খাবারের টানাটানি। সেই সময় উত্তর বাসুদেবপুর এলাকায় খাবার বিলি করছিলেন সৌমেন দাস নামে স্থানীয় এক যুবক। সেই সৌমেন দাসকে সেই সময় বেধড়ক মারধর করা হয় বলে অভিযোগ। এমনকী রূপালি সরকারের উপস্থিতিতেই তাকে মারধর করা হয়েছিল বলে অভিযোগ। এরপরই এনিয়ে এলাকায় উত্তেজনা ছড়ায়। ২০২০ সালের ১৯ মে মারা যান সৌমেন দাস। তারপর এলাকায় দফায় দফায় উত্তেজনা ছড়িয়েছিল। পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা করে।
এনিয়ে রাজনৈতিক চাপানউতোরও তুঙ্গে ওঠে। প্রাক্তন কাউন্সিলরকে গ্রেফতারের দাবিতে সরব হয়েছিলেন বিজেপি নেতৃত্ব। পরবর্তীতে রূপালি সরকারের বিরুদ্ধে অভিযোগও দায়ের হয়েছিল বেলঘরিয়া থানায়। ব্যারাকপুর মহকুমা আদালত থেকে পরবর্তীতে তিনি জামিনও নিয়েছিলেন। এরপর কলকাতা হাইকোর্টে যান নিহতের পরিবার। এবার সেই রূপালিই আত্মসমর্পণ করলেন আদালতে। তৃণমূল নেতৃত্বের দাবি, আইন আইনের মতো চলবে।