গঙ্গাসাগরের পূণ্যার্থীরা পারলে দুটি করে মাস্ক পরতে পারেন। পরামর্শ দিয়েছেন খোদ মুখ্যমন্ত্রী। তবে মুখ্যমন্ত্রী যাই বলুন, মালদহের হরিশ্চন্দ্রপুরে খোদ শাসকদলের নেতার মুখেই মাস্ক ছিলনা বলে অভিযোগ। পুলিশ দেখে তিনি পকেট থেকে মাস্ক বের করার চেষ্টা করেন। তবে মাস্ক না থাকা নিয়ে পুলিশের সঙ্গে বচসায় জড়িয়ে পড়েন শাসকদলের ওই নেতা। পুলিশের সঙ্গে ধাক্কাধাক্কিও শুরু হয়ে যায়। এরপরই পুলিশ গ্রেফতার করে ওই নেতাকে। তবে এভাবে শাসকদলের নেতার মাস্ক বিহীন অবস্থায় ঘোরার ঘটনাকে ঘিরে চরম অস্বস্তিতে তৃণমূল নেতৃত্ব। এদিকে পুলিশের দাবি আইন অনুসারে ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। তবে বাসিন্দাদের মতে, শুধু ওই ব্যক্তিই নন, একাধিক রাজনৈতিক দলের নেতা কর্মীদের মধ্যে কোভিড নিয়ে কোনও সচেতনতা নেই। মাস্ক ছাড়াই দিব্যি রাস্তায় বেরিয়ে পড়ছেন তাঁরা।
এদিকে এই ঘটনায় মুখ খুলেছেন হরিশ্চন্দ্রপুরের তৃণমূল বিধায়ক তজমুল হোসেন। তিনি বলেন, তৃণমূলের নেতা হোক আর যেই হোক, মাস্ক পরতই হবে। পুলিশের সঙ্গে যে কাজ হয়েছে তা নিন্দনীয় ঘটনা। পুলিশ সকলকে সচেতন করছে। নিজেকে বাঁচানো ও অপরকে বাঁচানোর জন্য এই মাস্ক পরা অত্যন্ত দরকার। আমরাও সকলকে সচেতন করছি।মাস্ক ব্য়বহার না করলে পুলিশ প্রশাসন কোনও পদক্ষেপ নিলে আমরা কিছু বলব না।
এদিকে তৃণমূল নেতার এই কোভিড বিধি ভঙ্গকে ঘিরে বিজেপি নেতা কিষান কেডিয়া বলেন, শাসকদলের নেতা মাস্ক ছাড়া ঘোরাঘুরি করছিলেন। নবান্ন নির্দেশ দিচ্ছে অথচ তৃণমূলের নেতা কর্মীরাই মাস্ক পরছেন না।