মঙ্গলবার সন্ধ্যায় জলপাইগুড়ির মালবাজার ব্লকের ক্রান্তি পুলিশ ফাঁড়ির মসজিদপাড়া এলাকায় কিছুটা বেসামাল হয়ে ঘোরাঘুরি করছিলেন এক যুবক। তাকে দেখে সন্দেহ হয় সিভিক ভলান্টিয়ারদের। পরিতোষ রায় নামে ওই যুবক পুলিশকে জানায় তাকে অপহরণ করা হয়েছিল। তিনি রাজগঞ্জের পাগলাহাট এলাকার বাসিন্দা। একটি বেসরকারি অর্থলগ্নি সংস্থায় তিনি কাজ করেন। তার দাবি, মঙ্গলবার দুপুরে ফুলবাড়ি এলাকা থেকে তিনি ১১ লক্ষ ৫ হাজার টাকা সংগ্রহ করে শিলিগুড়ির একটি ব্যাংকে জমা দিতে যাচ্ছিলেন। সেসময় প্রচন্ড বৃষ্টি হচ্ছিল। উত্তরকন্যা এলাকায় তিনি বাইক থেকে নেমেছিলেন।
সেসময়ই তিনচারজন দুষ্কৃতী তাকে অপহরণ করে। এরপর তাকে অজ্ঞান করে টাকা নিয় চম্পট দেয়। রাস্তার ধারে তাকে ফেলে রেখে যায়। এরপর পুলিশ পরিতোষের বয়ান মতো অভিযানে নামে। রাজগঞ্জের সুভাষপল্লি এলাকা থেকে তিনজনকে গ্রেফতারও করে পুলিশ। তাদের মধ্যে একজন আবার পরিতোষের নিকট আত্মীয় ও তৃণমূলের স্থানীয় নেতা। এদিকে সব মিলিয়ে পুলিশের খটকা লাগতে শুরু করে।
এরপর পুলিশ পরিতোষকে আরও জেরা করতে থাকে। কিন্তু পরিতোষের কথার মধ্য়ে একাধিক অসংলগ্নতা ধরা পড়ে। এরপরই পুলিশের সন্দেহ আরও বাড়তে থাকে। এদিকে ধৃত তিনজনকেও পুলিশ টানা জেরা শুরু করে। একসময় তারা ভেঙে পড়ে। পুলিশ জানতে পারে টাকা লোপাটের জন্য নাটক সাজিয়েছিল পরিতোষ। আর তাতে সহায়তা করেছিল অপর তিন সঙ্গী। এরপর পরিতোষকেও গ্রেফতার করেছে পুলিশ।