করোনাকালে নিজেদের কর্তব্যবোধ থেকে সরে আসেননি তাঁরা। দিনরাত জীবনের ঝুঁকি নিয়ে কাজ করে যাচ্ছেন তাঁরা। নীলরতন সরকার মেডিক্যাল কলেজের ওই নার্স তনুশ্রী চৌধুরী বৃহস্পতিবার বারুইপুর থেকে শিয়ালদহগামী স্টাফ স্পেশাল ট্রেনে চেপেছিলেন। তবে তাঁর দাবি, অন্যান্য কামরায় ভিড় থাকায় এদিন তিনি ভুলবশতই স্টাফ স্পেশাল ট্রেনে রেলকর্মীদের জন্য সংরক্ষিত কামরায় উঠে পড়েন। এরপরই আরপিএফ কর্মীরা তাঁকে নানাভাবে হেনস্থা করেন বলে অভিযোগ। সোনারপুরে ট্রেন থামলে তাঁকে মহিলা আরপিএফ কর্মীরা টেনে হিঁচড়ে ট্রেন থেকে নামান বলে অভিযোগ। তাঁকে গ্রেফতারও করা হয়।এমনকী আরপিএফ কর্মীদের পালটা হেনস্থা করার অভিযোগ এনে তাঁকে আদালতেও তোলা হয়। সেখান থেকে বিকালে ৭০০ টাকার জামিনে মুক্ত হন তিনি।
তাঁর দাবি পরিচয়পত্র দেখানোর পরেও শুনতে চাননি রেলপুলিশ। এমনকী সোনারপুর আরপিএফ অফিসেও পরিচয়পত্রটি আটকে রাখা হয় বলে অভিযোগ। সন্ধ্যায় সেটি তিনি হাতে পান। দিনভর হাওড়া কমিশনারেটে কর্মরত তাঁর স্বামীর সঙ্গে তাঁকে কথা বলতে দেওয়া হয়নি বলে অভিযোগ। রাতে তাঁকে বারুইপুর মহকুমা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। ওই নার্সের স্বামী ও এনআরএস কর্তৃপক্ষ অভিযুক্ত আরপিএফ কর্মীর শাস্তির দাবি তুলেছেন। এদিকে আরপিএফের পালটা দাবি, বার বার বলা সত্ত্বেও তিনি স্বাস্থ্য কর্মীদের জন্য বরাদ্দ কামরায় যাননি। তবে গোটা ঘটনায় আরপিএফের ভূমিকা নিয়ে নানা প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। তনুশ্রী দেবী বলেন,' ভিড়ের জন্য আমি উঠতে পারিনি। কিন্তু এটা দেখাই হল না। আমার সঙ্গে দুর্ব্যবহার করা হয়েছে। আমি সুবিচার চাইছি।'