বালির নাবালিকা ক্যারাটে খেলোয়াড় পামেলা অধিকারীর অস্বাভাবিক মৃত্যুর ঘটনায় নয়া মোড়। পুলিশ সূত্রে খবর, বর্ধমানের গলসি থেকে গ্রেফতার করা হয়েছে অভিযুক্ত সানি খানকে। তার মোবাইলের গতিবিধির উপর নজর রাখছিল পুলিশ। এরপরই তল্লাশি চালিয়ে পুলিশ তাকে গ্রেফতার করে। বুধবার হাওড়া আদালতে তোলা হয় সানি খানকে। এদিকে পামেলার পরিজনদের দাবি,' খেলাধুলা, শরীরচর্চা নিয়েই থাকত। ন্যাশানালেও খেলে এসেছে। সেই মেয়ে যে এমন করতে পারে তা বোঝা যায়নি। ওকে ব্ল্যাকমেইল করা হত।'
প্রাথমিক তদন্তে পুলিশ জেনেছে, ধৃত সানি খান আদতে বিবাহিত। তার বয়স ১৯ বছর। সোশ্য়াল মিডিয়ার মাধ্যমে তার সঙ্গে পামেলার আলাপ হয়। ফোনে যোগাযোগ ছিল দুপক্ষের মধ্যে। তবে অভিযুক্তের আসল নাম সানি খান নয়। শেখ তারুফ নামে এক যুবক সানি খান নাম নিয়ে পামেলার সঙ্গে বন্ধুত্ব করেছিল। নেটমাধ্যমে সে সানি খান নামেই পরিচিত। এদিকে একদিন পামেলা সেই সানিকে ফোন করেছিল। সানির স্ত্রী ফোনটি ধরে ফেলে। এরপরই সানি যে বিবাহিত সেটা জানাজানি হয়ে যায়। যাবতীয় সম্পর্ক থেকে বেরিয়ে আসার চেষ্টা করে পামেলা। কিন্তু সানি তাকে নানাভাবে চাপ দেওয়া শুরু করে। নানাভাবে ব্ল্য়াকমেলিং করা শুরু হয়।
নম্বর ব্লক করার পরেও সানি অন্য় নম্বর থেকে পামেলাকে ফোন করা শুরু করে। পামেলার কিছু ছবি সানির কাছে ছিল। সেগুলি দেখিয়েও সে ব্ল্যাক মেলিং করা শুরু করে বলে অভিযোগ। এমনকী সে আরও ছবি চাইতে শুরু করে। ছবি না দিলে তার সমস্ত ছবি সোশ্য়াল মিডিয়ায় পোস্ট করার হুঁশিয়ারি দেয় সে। এরপরই পুলিশের ধারণা, আতঙ্কে, অপমানে আত্মহত্যা করে পামেলা। পামেলার হাতে লেখা ৮ ডিজিটের নম্বর পায় পুলিশ। আদতে এটি ছিল তার মোবাইলের পাসওয়ার্ড। এরপর তার ফোন থেকে কিছু তথ্য পাওয়া যায়, তার ভিত্তিতেই সানিকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।