ঘটনার তিনদিনের মধ্যে গ্রেফতার শের মহম্মদ শেখ।কেতুগ্রাম হয়ে মুর্শিদাবাদ পালিয়ে যাওয়ার ছক কষেছিল সে। স্ত্রী রেণু খাতুনের কব্জি কেটে নেওয়ায় অভিযুক্ত এই যুবক। গোপন সূত্রে খবর পেয়ে পুলিশ তাকে গ্রেফতার করে। গোপন ডেরায় লুকিয়ে ছিল সে। এদিকে মঙ্গলবার সকালে তার বাবা মাকে গ্রেফতার করেছিল পুলিশ। এবার স্বামীকেও গ্রেফতার করল পুলিশ।
তবে তাৎপর্যপূর্ণভাবে যেটা জানা যাচ্ছে রেণু খাতুনের হাত কাটার জন্য দুজনকে সুপারি দিয়েছিল সে। তারা তার বন্ধু ছিল না। শুধু স্ত্রীর হাত কাটার জন্য তাদের ভাড়া করে আনা হয়েছিল। এমনটাই প্রাথমিক তদন্তে পুলিশ জানতে পেরেছে। পুলিশ ইতিমধ্যে তাকে জেরা করছে। অপর দুই যুবকের খোঁজও চলছে।
তবে প্রাথমিকভাবে পুলিশ জেনেছে, রেণুকে খুন করার চেষ্টা তারা করেনি। শুধু হাত কাটতে চেয়েছিল। যাতে তিনি সরকারি চাকরিটা না করতে পারেন। তবে এই তালিবানি মনোভাব যে যুবকের তার কঠোর শাস্তি চাইছেন অনেকেই।
আড়াই বছরের প্রেম। বছর পাঁচেক এক সঙ্গে থাকা। আর তারপর রেণু চাইতেন সরকারি চাকরি করে সংসারটাকে দাঁড় করাতে। স্বামী, শ্বশুড়, শাশুড়িকে নিয়ে একসঙ্গে থাকতে। আর সেই সরকারি চাকরি যখন পেলেন তখন ডান হাতের কব্জি থেকে কেটে দিল স্বামী। তবুও এই লড়াইয়ে হার মানবেন না তিনি। রেণু ইতিমধ্যেই বাঁ হাতে পেন ধরে লিখেছেন, আমি একজন নার্স। আমি আমার জন্য গর্বিত।