বাম আমল থেকেই জমি হাঙরদের দেখা মিলত গ্রামবাংলার বিভিন্ন প্রান্তে। এবার একই জিনিস দেখা গেল তৃণমূল কংগ্রেসের জমানাতেও। যা নিয়ে রীতিমতো চর্চা তুঙ্গে উঠেছে। একদিকে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় মানুষের হাতে জমির পাট্টা তুলে দিচ্ছে, অন্যদিকে জমি মাফিয়া বা হাঙররা তা ছিনিয়ে নিচ্ছে। এমনই ঘটনা ঘটেছে বীরভূমে। এবার সরাসরি ইলামবাজার ব্লকের বাউলশিল্পী পূর্ণদাস বাউলের জমি ছিনিয়ে নেওয়ার অভিযোগ উঠল জমি মাফিয়াদের বিরুদ্ধে। আর তা দেখে পূর্ণদাস বাউল প্রশাসনের দ্বারস্থ হয়েছেন। সেখানে পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে যান ব্লক ভূমি ও ভূমি সংস্কার দফতরের আধিকারিকরা এবং স্থানীয় পুলিশ অফিসাররা।
জানা গিয়েছে, জমি মাফিয়াদের দৌরাত্ম্যে কিছুদিন আগে বোলপুরের সুরুল, তালতোর এলাকার জমি জবরদখলের অভিযোগ ওঠে। অসাধু উপায়ে জমি মাফিয়ারা অন্যের জমি হাতিয়ে নিচ্ছেন। এভাবেই পূর্ণদাস বাউলের জমিও হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। আর দেখে চক্ষু চড়কগাছ বীরভূম জেলা প্রশাসনের। বেশ কয়েক বছর আগে ইলামবাজার থানার কামারপাড়া মৌজায় রাস্তার ধারে চার বিঘা জমি কেনেন পূর্ণদাস।
কিভাবে দখল করা হয়েছে বাউলের জমি? স্থানীয় সূত্রে খবর, ২০০৬ সালের পর থেকে বাউলের জমি ধীরে ধীরে জবরদখল হতে শুরু করে। শিল্পীর পরিবার জেলা প্রশাসন এবং ভূমি সংস্কার আধিকারিকের কাছে একাধিকবার অভিযোগ করেছেন। কিন্তু কেনও কাজ হয়নি। এই বিষয়ে পূর্ণদাস বাউলের অভিযোগ, ‘জমি মাফিয়ারা ভুয়ো কাগজ তৈরি করে জমি বিক্রি করে দিতে শুরু করে। জমির নানা অংশে দোকান–ঘর থেকে শুরু করে স্থায়ী নির্মাণও হচ্ছে। এখন আমি অসহায়।’
এই ঘটনায় প্রশাসনের সর্বত্র তিনি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন। তিনি আক্ষেপের সুরে বলেন, ‘এই জমি আমার। তিন ছেলের নামে লিখে দিয়েছি। আজ তা জবরদখল হয়ে যাচ্ছে। কারা দখল করে নিচ্ছে, তা আমি বলতে পারব না। তবে কোনদিন শুনিনি, বাউলের জায়গা দখল করে নেওয়া হয়েছে। বিষয়টি মুখ্যমন্ত্রীকে জানাব।’