দুর্যোগ কাটতেই উঠে গেল দিঘার কড়া নিষেধাজ্ঞা। দিঘার সমুদ্র সৈকতে ঢল নামল পর্যটকদের। ঘূর্ণাবর্তের জন্য সমুদ্র সৈকতে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছিল জেলা প্রশাসন।
প্রবল দুর্যোগের আগাম পূর্বাভাস দিয়েছিল আলিপুর আবহাওয়া দফতর। গত ২৭ সেপ্টেম্বর থেকে ৩০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত দিঘার উপকূলে প্রবল বৃষ্টিপাত ও ঝড়ো হাওয়ার সম্ভাবনা ছিল। সে কারণে কোনও ঝুঁকি নেয়নি জেলা প্রশাসন। দিঘার সমুদ্র সৈকতে পর্যটকদের আনাগোনায় নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছিল। কাউকেই সমুদ্রসৈকতে ঘেঁষতে দেয়নি পুলিশ। জেলা প্রশাসন স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছিল, কোনও পর্যটক যাতে দিঘার সমুদ্রের কাছে না থাকেন। সমুদ্র স্নানেও নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছিল। একই সঙ্গে সমস্ত হোটেলগুলো বন্ধ করে দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল।
তবে যে পর্যটকরা হোটেলে ছিলেন, তাঁদের ঘরবন্দী হয়ে থাকতে হয়েছে। ফলে, পর্যটক শূন্য হয়ে পড়েছিল দিঘা। শেষপর্যন্ত দুর্যোগ কাটতেই সমুদ্র সৈকতে ঘুরে বেড়ালেন পর্যটকরা। শুক্রবার থেকে সেই কড়া নির্দেশ তুলে দিতেই ঢল নামে পর্যটকদের। সমুদ্রস্নানে মেতে উঠেছেন পর্যটকেরা। দিঘায় ঘুরতে আসা পর্যটক বলেন, ' আমরা দিঘার সমুদ্রের অপরূপ দৃশ্য ও সমুদ্র সৈকতে স্নান উপভোগ করছি।'