আশ্রমের ভিতরে ছাত্রকে পিটিয়ে মারার ঘটনায় বৃহস্পতিবার রাতে ফের উত্তপ্ত হয়ে উঠল বারুইপুরের উত্তরভাগ। দেহ এলাকায় পৌঁছতেই তুমুল বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন মহিলারা। এই ঘটনায় ওই আশ্রমের প্রধান সন্ন্যাসিনীসহ ৩ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
আরও পড়ুন - শিলিগুড়ির বাসিন্দাদের ২০ দিন ধরে বিষ খাইয়েছে তৃণমূল, বিস্ফোরক দাবি শংকর ঘোষের
পড়তে থাকুন - BJP এলে সাসপেন্ড করব, শাহজাঁহার থেকেও খারাপ হাল হবে, পুলিশকে হুঁশিয়ারি শুভেন্দুর
অভিযোগ বুধবার রাত ১১টা নাগাদ পবিত্র সরদার নামে ওই নাবালককে আশ্রমে তুলে নিয়ে যায় কয়েকজন যুবক। সেখানে চুরির অপবাদ দিয়ে হাত পা বেঁধে তাঁকে সারা রাত মারধর করে তারা। সকালে নাবালককে অচেতন অবস্থায় উদ্ধার করে বারুইপুর মহকুমা হাসপাতালে নিয়ে গেলে মৃত বলে ঘোষণা করেন চিকিৎসকরা। এর পর আশ্রম কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে ভাগ্নেকে পিটিয়ে মারার অভিযোগ করেন তাঁর মামা।
বৃহস্পতিবার রাতে প্রবিত্রর দেহ এলাকায় পৌঁছলে তুমুল উত্তেজনা ছড়ায়। স্থানীয়রা আশ্রমের গেটে ভাঙচুর চালান। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নামে বারুইপুর থানার পুলিশ ও ব়্যাফ। রীতিমতো রণক্ষেত্রের চেহারা নেয় এলাকা। ওদিকে নিহতের পরিবারের অভিযোগের ভিত্তিতে আশ্রমের প্রধান সন্ন্যাসিনীসহ ৩ জনকে গ্রেফতার করে পুলিশ। আশ্রমে ভাঙচুরের ঘটনায় ৪ জনকে আটক করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন SDPO. তবে সন্ন্যাসিনীর দাবি, ঘটনার সঙ্গে তিনি যুক্ত নন।
আরও পড়ুন - আগাম এলেন মেঘদূত, কেরলের সঙ্গে একই দিনে পশ্চিমবঙ্গেও ঢুকে পড়ল মৌসুমী বায়ু
নিহতের মা জানিয়েছেন, ছেলে মামার বাড়ি বেড়াতে গিয়েছিল। হঠাৎ রাতে তাকে আশ্রমে তুলে নিয়ে যায় কয়েকজন। সেখানে তার বিরুদ্ধে চুরির অপবাদ দেয় আশ্রম কর্তৃপক্ষ। এর পর হাত পা বেঁধে ছেলেকে নৃশংসভাবে অত্যাচার করেছে আশ্রমের আবাসিকরা। যদি আমার ছেলে চুরি করে থাকে তাহলে তো পুলিশে জানাতে পারত। পিটিয়ে মারার অধিকার কে দিয়েছে? আর আমার ছেলের বিরুদ্ধে আগে কোনও দিন এরকম অভিযোগ শুনিনি।