লোকসভা ভোট এগিয়ে আসতেই পাহাড়ে নতুন করে গোর্খাল্যান্ডের দাবি উঠল। সোমবার গোর্খাল্যান্ডের দাবি নিয়ে কালিপংয়ে এক সমাবেশের আয়োজন করে গোর্খা জনমুক্তি মোর্চা। সে সমাবেশে হাজির ছিলেন মোর্চা প্রধান বিমল গুরুং, হামরো পার্টির সভাপতি অজয় এডওয়ার্ড, জিটিএ সদস্য বিনয় তামাং-সহ পাহাড়ের সব তাবড় নেতারা। তবে এই বৈঠকে ছিলেন না ভারতীয় গোর্খা প্রজাতান্ত্রিক মোর্চার নেতা অনিত থাপা। সেই সভাতেই ঘোষণা করা হয় ফের গোর্খাল্যান্ড নিয়ে আন্দোলন শুরু হলে। যদিও উত্তরবঙ্গে দায়িত্বপ্রাপ্ত তৃণমূল নেতা তথা বিদ্যুৎমন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস জানিয়েছে বাংলা ভাগের কোনও প্রশ্ন নেই।
সভায় গোর্খাল্যান্ডের দাবিকে উস্কে দেন বিমল গুরুং। তিনি গোর্খাল্যান্ডের জন্য জিটিএস চুক্তি থেকে বেরিয়ে আসার হুঁশিয়ারি দেন। তাঁর সুর ধরেই একের পর এক নেতারা এই দাবিতে সুর চড়া করতে শুরু করেন। বিনয় তামাং বলেন.'গোর্খাদের জন্য আমরা পৃথক রাজ্য চাই। এই দাবি প্রতিটি গোর্খার। আমাদের সকলে মিলে এই দাবিতে সরব হওয়া উচিত।' একই দাবি উঠল হামরো পার্টির নেতা অজয় এডওয়ার্ডের গলাতেও। তিনি বলেন, 'আশির দশকে যখন এ নিয়ে আন্দোলন হয় তখন আমরা ছোট ছিলাম।কিন্তু তখনই আমরা বুঝতে পেরেছিলাম পাহাড়বাসী নিজের রাজ্যের পক্ষে। তাই আমরা চেষ্টা করব চাপ দিয়ে এই দাবি পূরণ করতে।'
বিমল, বিজয়, অজয়রা মিলে তৈরি করেছেন ভারতীয় গোর্খাল্যান্ড সংঘর্ষ কমিটি। কোন পথে হবে আন্দোলন তাও নির্দিষ্ট করা হয়নি। এ জন্য ন সদস্যের একটি কমিটি তৈরি করা হয়েছে। বিমল গুরং বলেন,'আমরা হিংসাত্মক আন্দোলন করব না। তবে পৃথক গোর্খাল্যান্ডের জন্য যা যা করা দরকার তাই করব। আমাদের আন্দোলন হবে দিল্লিমুখী। সবাই মিলে এক সঙ্গে এই আন্দোলন হবে। ' আগামী ৫ ফেব্রুয়ারি আন্দোলনের একটি রূপরেখা তৈরি করতে একটি বৈঠক হবে।
মন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস জানিয়েছেন, 'পৃথিবীর কোনও শক্তি বাংলাকে ভাগ করতে পারবে না। বাংলাকে অটুট রাখাই আমাদের দায়িত্ব।'
বিমল গুরং জানান, কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল গঠনের কর্মসূচি নিয়ে অনন্ত মহারাজের সঙ্গেও তাঁর কথা হয়েছে।