গরু পাচারকাণ্ডে ইডির হাতে গ্রেফতার হয়ে আপাতত দিল্লির তিহাড় জেলে দিন কাটছে অনুব্রত মণ্ডলের প্রাক্তন দেহরক্ষী সায়গল হোসেন। আসানসোলের সিবিআই আদালতে চলা মামলার শুনানিতে শুক্রবার অনলাইন হাজিরা দেয় সায়গল। বিচারক রাজেশ চক্রবর্তী সায়গলের সঙ্গে সরাসরি কথা বলেন শুক্রবার। জেলের বর্তমান পরিস্থিতি সম্পর্কে সায়গলের থেকে জানতে চান বিচারক। পাশাপাশি সাগলকে প্রশ্ন করেন, ‘দাড়ি কেন বেড়েছে?’
এদিন বিচারক-সায়গলের কথোপকথনের প্রথমেই বিচারক প্রশ্ন করেন, ‘দাড়ি কেন বেড়েছে?’ জবাবে সায়গল বলে, ‘খুব ঠান্ডা। তাই কাটানো হয়নি।’ এরপর বিচারক প্রশ্ন করেন, ‘ঠান্ডা কেমন? কম্বল দেওয়া হয় তো?’ সায়গল বলে, ‘ভীষণ ঠান্ডা। কম্বল দেওয়া হয়।’ বিচারক এরপর সায়গলকে বলেন, ‘কেউ তোমার জামিনের আবেদন করেননি। পরবর্তী শুনানি ২২ ডিসেম্বর।’
এর আগে মঙ্গলবার ইডির তরফে জানানো হয়েছিল, সায়গল হোসেনের প্রায় ১.৬ কোটি টাকার সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে সায়গল ও তাঁর পরিবারের ৩২টি সম্পত্তি। গরুপাচারের টাকায় এই সম্পত্তিগুলি কেনা হয়েছিল বলে জানিয়েছিলেন গোয়েন্দারা। তদন্তকারীদের দাবি, অনুব্রতর টাকায় বীরভূম ও মুর্শিদাবাদে বিপুল সম্পত্তি কিনেছিলেন সায়গল। যার মূল্য প্রায় ১০০ কোটি টাকা। এই আবহে গত জুন মাসে সিবিআই দাবি করেছিল, সায়গল হোসেনের কাছ থেকে প্রায় ১৫০ কোটি টাকার সম্পত্তির নথি উদ্ধার হয়েছে। শুধুমাত্র মুর্শিদাবাদ জেলাতেই জমির ৬০টি দলিল উদ্ধার হয়েছে। এছাড়া পেট্রল পাম্প, ডাম্পারের ব্যবসার নথিও উদ্ধার হয়েছে তার ফ্ল্যাট থেকে। এদিকে সায়গলের নিউ টাউনের ফ্ল্যাট থেকে উদ্ধার হয়েছে ৭০ কেজি সোনা। এরপরই চলতি বছর জিজ্ঞাসাবাদের জন্য সায়গলকে দিল্লি নিয়ে যান গোয়েন্দারা। তার পর থেকে অনুব্রতর প্রাক্তন দেহরক্ষীর ঠিকানা দিল্লির তিহাড় জেল।