আইনমন্ত্রী মলয় ঘটকের আসানসোলের বাড়িতে হামলার ঘটনা ঘটেছে। তাঁর বাড়ির অফিসের টেবিলের কাচ থেকে শুরু করে নানা আসবাব ভাঙচুর করা হয় বলেই অভিযোগ। এই হামলার ঘটনায় এক যুবককে আটক করেছে আসানসোল দক্ষিণ থানার পুলিশ। একেবারে মন্ত্রীর বাড়িতে ঢুকে হামলার ঘটনায় আলোড়ন পড়ে গিয়েছে। মন্ত্রীর সঙ্গে যদি এমন ঘটতে পারে তাহলে সাধারণ মানুষের নিরাপত্তা কোথায়? উঠছে প্রশ্ন। কেন এমন করল ওই ব্যক্তি? দফায় দফায় জেরা চলছে পুলিশের।
এদিকে এই ঘটনার পর ঘটনাস্থলেও পৌঁছে গিয়েছেন পুলিশকর্তারা। পুলিশ সূত্রে খবর, আসানসোলে মলয় ঘটকের ‘আপকার গার্ডেনের’ আজ দোতলা বাড়িতে হামলার ঘটনা ঘটেছে। ওই বাড়ির একতলায় রয়েছে মন্ত্রীর দফতর। সেখানে স্থানীয় মানুষজন আসেন নানা সমস্যা নিয়ে। আজ, বুধবার মলয় ঘটক উত্তরবঙ্গে মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে সফরে রয়েছেন। আর অভিযুক্ত ব্যক্তি সেই ফাঁকা পরিস্থিতিতে সেখানে গিয়েছিলেন। মন্ত্রীর অফিসের কাচের টেবিল এবং আসবাবপত্র ভেঙে দিয়েছেন বলে অভিযোগ। কিন্তু কেন মন্ত্রীর বাড়িতে হামলা করল? সেটা এখনও স্পষ্ট নয়।
আরও পড়ুন: ‘শাঁখ–উলুধ্বনি দিয়ে নেতাজির জন্মমুহূর্তকে উদযাপন করতে হবে’, বার্তা দিলেন মমতা
অন্যদিকে আজ বুধবার দুপুরে এক যুবক মন্ত্রীর আসানসোলের বাড়িতে ঢুকে পড়ে। কিন্তু নিরাপত্তারক্ষী প্রথমে তাকে বাধা দেয়। তবে কিছুক্ষণ পর নিরাপত্তারক্ষীদের চোখে ধুলো দিয়ে মন্ত্রীর বাড়ি সংলগ্ন অফিসে ঢুকে পড়ে সেই যুবক। মন্ত্রীর কার্যালয়ে থাকা টেবিলের কাচ ভেঙে দেয় সে। ভাঙচুরের সেই শব্দ শুনে ছুটে আসেন নিরাপত্তারক্ষীরা। তখন ওই যুবক অন্য আসবাব ভাঙার চেষ্টা করছে। তখন তাকে হাতেনাতে ধরে ফেলা হয়। শুধু ওই যুবককে ধরে ফেলার পর বলতে শোনা যায়, ‘সার্টিফিকেট করে দেবে বলেও এখনও দিল না।’
এছাড়া এই ঘটনার পর আসানসোল দুর্গাপুর পুলিশ কমিশনারেটের ডিসি সেন্ট্রাল ধ্রুব দাস, এসিপি সেন্ট্রাল বিশ্বজিৎ নস্করের নেতৃত্বে বিশাল পুলিশবাহিনী ঘটনাস্থলে পৌঁছয়। মন্ত্রীর বাসভবনে নিরাপত্তা খতিয়ে দেখা হয়। ওই যুবক ঢুকে পড়ার ঘটনায় বড় প্রশ্নের মুখে পড়ল পুলিশের নিরাপত্তা। সেখানে কেমন করে সে ঢুকল? সেটা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে। ওই যুবক ধরা পড়ার পর দাবি করেছে, তাকে কেউ পাঠায়নি। মন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করার সুযোগ না পেয়ে এই কাজ করেছে সে। যদিও পুলিশের পক্ষ থেকে এই ঘটনাটিকে অত্যন্ত গুরুত্ব দিয়ে দেখা হচ্ছে। ওই যুবকের অন্য কোনও উদ্দেশ্য ছিল কিনা সেটাও তদন্ত করে দেখছে পুলিশ। আসানসোল দক্ষিণ থানার বিশাল পুলিশ বাহিনীও সেখানে উপস্থিত হয়।