আসানসোলে আত্মীয়ের বাড়ি বেড়াতে এসে বন্ধুদের সঙ্গে যান বাঁকুড়ার শালতোড়া থানা এলাকার একটি রিসর্টে। আর সেখানেই বন্ধুরা মিলে যুবতীকে বন্ধ ঘরে নিয়ে গিয়ে মাদক খাই লাগাতার গণধর্ষণ করে বলে অভিযোগ উঠেছে। এই ঘটনার পর থেকে পলাতক চার বন্ধু যুবক। এখন এই চারবন্ধুর বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের হয়েছে আসানসোল মহিলা থানায়। অভিযুক্তরা প্রত্যেকেই গ্রেফতার হওয়ার ভয়ে গা–ঢাকা দিয়েছে। অভিযুক্ত একজনের বাবা–মাকেও আটক করা হয়েছে। আর নির্যাতিতা এখন দুর্গাপুর ইএসআই হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
এদিকে ওই নির্যাতিতা ও তাঁর মামার মেয়ে–সহ কয়েকজন বন্ধু মিলে বাঁকুড়া জেলার শালতোড়া থানার ওই রিসর্টে গিয়েছিলেন। আর সেখানেই মাদক খাইয়ে যুবতীকে গণধর্ষণ করা হয়েছে বলে অভিযোগ। এই ঘটনায় পরিবারের পক্ষ থেকে আসানসোল মহিলা থানায় অভিযোগ দায়ের হয়েছে। চার যুবকের নামে অভিযোগ দায়ের হয়েছে। এই ঘটনায় মূল অভিযুক্তের বাবা–মাকেও আটক করা হয়েছে। অভিযুক্তদের বাড়ি আসানসোলের ইসমাইল এলাকায়। অভিযুক্তের মা বলেন, ‘ছেলে বাড়ি ফেরেনি। কোথায় গিয়েছে জানি না। পুলিশ এসেছিল। আমার ছেলে নির্দোষ। ওদের খুঁজে নিয়ে আসতে বলেছি।’
অন্যদিকে পুলিশ সূত্রে খবর, নির্যাতিতার বাড়ি দুর্গাপুরে। ওই যুবতীর মামার বাড়ি আসানসোল এলাকায়। সেখানেই পড়াশোনা করেন ওই যুবতী। যুবতী আসানসোল গার্লস কলেজের তৃতীয় বর্ষের ছাত্রী। কদিন আগে চারবন্ধু এবং চার বান্ধবী মিলে বাঁকুড়ায় ঘুরতে যান। ওই আটজনের দলে নির্যাতিতার মাসতুতো বোনও ছিল। তাঁরা প্রত্যেকেই বাঁকুড়ার শালতোড়া থানার বিহারীনাথ পাহাড়ের রিসর্টে ওঠেন। কিন্তু সেখানে ওই যুবতীকে মাদক খাইয়ে গণধর্ষণ করে চারবন্ধু বলে অভিযোগ। এই লাগাতার অত্যাচারে অসুস্থ হয়ে পড়লে যুবতীকে বাড়িতে দিয়ে যায় অভিযুক্তরাই। আর কেউ এই বিষয়ে মুখ খোলেনি।
এছাড়া নির্যাতিতার বাবা ইসিএলের কর্মী। এই ঘটনার পর মেয়েটির বাড়ির সদস্যরা নিয়ে যায় স্থানীয় চিকিৎসাকেন্দ্রে। কিন্তু তাঁর শারীরিক অবস্থা আরও খারাপ হওয়ায় সন্দেহ হয় পরিবারের সদস্যদের। তাঁরা তখন প্রশ্ন করেন নির্যাতিতাকে। তখন ওই নির্যাতিতা যুবতী ধর্ষণের বিষয়টি জানান। এখন ওই যুবতী ভর্তি আছেন দুর্গাপুর ইএসআই হাসপাতালে। আসানসোল মহিলা থানায় আকাশ, অভিষেক, চন্দন, রোহিত নামের চার বন্ধুর বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেন নির্যাতিতার মা। গোটা ঘটনার তদন্তে নেমেছে পুলিশ।