জনস্বাস্থ্য কারিগরির পাইপলাইনের কাজ চলছিল। তার জন্য মাটির তলায় নেমেছিলেন চার শ্রমিক। এমন সময় ঘটে গেল দুর্ঘটনা। কাজ করার সময় মাটি চাপা পড়ে যান ওই শ্রমিকরা। তাঁদের মধ্যে মৃত্যু হয় তিনজনের। একজনকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় ভর্তি করা হয়েছে জেলা হাসপাতালে। এই মর্মান্তিক ঘটনা নিয়ে সালানপুর থানার অন্তর্গত ডালমিয়া এলাকায় আলোড়ন পড়ে গিয়েছে। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় সালানপুর থানার পুলিশ। জলের পাইপলাইনের কাজ করার সময় এমন ঘটনা যে ঘটবে তা কেউ কল্পনাও করতে পারছেন না। আসানসোলের সালানপুরে শোকের ছায়া নেমে এসেছে। এখানে ভিন রাজ্যের শ্রমিকও ছিল।
এদিকে পুলিশ সূত্রে খবর, এখানে মৃত তিন শ্রমিকের মধ্যে দু’জন ভিন রাজ্যের। তাঁরা ঝাড়খণ্ডের বাসিন্দা। এঁদের নাম রেজ্জাক শেখ (২০)। আর রোহিত শেখ (১৮)। তৃতীয় মৃত শ্রমিকের নাম নীতেশ পাসওয়ান। তিনি কুলটির নিউ রোডের বাসিন্দা। আহত শ্রমিক শামসুল শেখকে তড়িঘড়ি আসানসোল জেলা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। তিনিও ঝাড়খণ্ডের বাসিন্দা এবং অবস্থা আসঙ্কাজনক। এখানের ডালমিয়া কোলিয়ারি এলাকায় পূর্ত দফতরের পিএইচই জলের পাইপলাইন বসানোর কাজ চলছিল। তাই মাটি খুঁড়ে গর্ত করা হয়েছিল। হঠাৎ সেখানে মাটি ধসে পড়তে আটকে পড়েন কয়েকজন শ্রমিক। স্থানীয় বাসিন্দারা এসে উদ্ধার কাজ শুরু করেন।
আরও পড়ুন: স্বাস্থ্যভবন অভিযানে একমঞ্চে সুকান্ত–দিলীপ, দেখা মিলল না শুভেন্দুর, গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব নাকি?
অন্যদিকে এদিন সালানপুর রেল লাইনের সামনে জনস্বাস্থ্য কারিগরির পাইপলাইনের কাজ চলছিল। তার জন্য প্রায় ১০ ফুট গর্ত খোঁড়ার কাজ চলছিল। গর্ত খুঁড়ে মাটি পাশেই রাখা হচ্ছিল। হঠাৎই সেই মাটি ধসে পড়ে। তখনই আটকে পড়েন চারজন শ্রমিক। স্থানীয় বাসিন্দারা এসে উদ্ধার কাজে হাত লাগান। তারপর শ্রমিকদের উদ্ধার করে তড়িঘড়ি হাসপাতালে নিয়ে গেলে ঝাড়খণ্ডের দুই বাসিন্দা–সহ তিন শ্রমিককে মৃত বলে ঘোষণা করেন চিকিৎসকরা। এখন পুলিশ এই মৃত শ্রমিকদের বাড়িতে খবর দিচ্ছেন।
এই ঘটনার পর আতঙ্ক তৈরি হয়েছে গোটা এলাকায়। কারণ এখানে জনবসতিও আছে। তাই যদি জনবসতি এলাকায় এমন ঘটনা ঘটে তাহলে তো বহু মানুষের প্রাণ যাবে। এমন আশঙ্কাও করা হচ্ছে। তবে স্থানীয় এক বাসিন্দা ফুচু বাউরি বলেন, ‘বাড়িতে ছিলাম। তাই শুনলাম ধস নেমেছে। তারপর ছুটে এসে দেখি চারজন চাপা পড়েছেন। তাঁদেরকে দ্রুত উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে তিনজনকে মৃত বলে ঘোষণা করা হয়। আর একজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক। তাঁর চিকিৎসা এখন চলছে।’